
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আগুন লেগে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার’ একাধিক মোটিফ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার সকালের দিকে লাগা আগুনে শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ এবং ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ পুড়ে গেছে।
কীভাবে আগুন লাগল তা তদন্ত করে জানানো হবে বলে বলেছেন চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, “ভোরবেলা আগুন লেগেছে। সম্ভবত ফজরের নামাজের সময় হতে পারে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে- এই বিষয়টা নিয়ে আমরা তদন্ত করে মন্তব্য করব। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সভায় বসব।”
আগের দিন শুক্রবার আয়োজন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিলেন, এবার শোভাযাত্রায় এবার বড়, মাঝারি এবং ছোট মোটিফ থাকবে। এর মধ্যে বড় মোটিফ থাকবে ৬টি। সবার সামনে থাকবে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’। নারীর দাঁতাল এই মুখাবয়বে মাথায় রয়েছে খাড়া দুটো শিং।
এদিকে, দুটি মোটিফে আগুন লাগার ঘটনা ‘রহস্যজনক’ বলে দাবি করছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষ বলছে, তারা আজ শনিবার ভোর ৫টা ৪ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায়। পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ৫টা ২২ মিনিটে আগুন নিভিয়ে ফেলে। সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা রুহুল আমিন মোল্লা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্যাপনের জন্য অনেকগুলো মোটিফ সেখানে রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ঘটনাটিকে ‘রহস্যজনক’ বললেও এখন পর্যন্ত কীভাবে আগুন লেগেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ভারতে পালানো শেখ হাসিনার দোসসরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন তিনি।
পোস্টে সংস্কৃতি উপদেষ্টা লিখেছেন, হাসিনার দোসররা গতকাল ভোর রাতে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে। এই দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে- সফট আওয়ামী লীগ হোক বা আওয়ামী বি টিম হোক- তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আসতে হবে, দ্রুত। এই শোভাযাত্রা থামানোর চেষ্টায় আওয়ামী লীগের হয়ে যারা কাজ করছে, আমরা শুধু তাদেরকে আইনের আওতায় আনবো তা না, আমরা নিশ্চিত করতে চাই এবারের শোভাযাত্রা যেন আরো বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়। কালকে রাতের ঘটনার পর হাসিনার দোসররা জানিয়ে দিয়ে গেল বাংলাদেশের মানুষ এক হয়ে উৎসব করুক তারা এটা চায় না।