২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭ পৌষ ১৪৩১ 

বিশাল বাংলা

পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

বাংলাওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৪৫, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের টানাপোড়েনের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার পঞ্চগড় সীমান্তে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি মধ্যবয়সী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভোররাতে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া ও ভারতের শিংপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫১-এর ৮/৯ নম্বর সাব পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

নিহত যুবকের নাম আনোয়ার হোসেন (৪০)। তিনি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের আমজুয়ানী গ্রামের আব্দুল রফিক মিয়ার ছেলে। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিজিবি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারসহ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক শুক্রবার রাতে ভারতে গরু আনতে যায়। ভোরের দিকে গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তের ভেতর বিএসএফের ৯৩ ব্যাটালিয়নের চানাকিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করেন। এ সময় বিএসএফ গুলি চালালে নিহত হন আনোয়ার। চোরাচালানের দুটি গরুও জব্দ করে বিএসএফ।

অন্যদিকে বিজিবি সীমান্তে গুলির শব্দ পেয়ে চোরাকারবারিদের প্রতিহত করার জন্য ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। ঘটনার পর বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাচালানের একটি ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়েছে। পরে দুপুরে মোমিনপাড়া সীমান্তের শূন্য রেখায় বাংলাদেশ অংশে বিজিবি-পুলিশ যৌথভাবে আনোয়ারের লাশ নিয়ে আসে।

পঞ্চগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, গুলিতে নিহত আনোয়ারের লাশ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো বদরুদ্দোজা বলেন, সীমান্তের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে। সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও সীমান্ত হত্যা প্রতিরোধকল্পে বিজিবির টহল কার্যক্রম, গোয়েন্দা তৎপরতা চলমান রয়েছে।

এর আগে গত বুধবার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তের ওপারে ভারতের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া আশরাফ উদ্দিন (৬৫) নামের এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল ভারতে হওয়ায় আইনি জটিলতার কারণে ময়নাতদন্ত নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। 

আশরাফ উদ্দিন (৬৫) উপজেলার ইসলামপুর পূর্ব ইউনিয়নের দয়ার বাজার ভাটরাই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির মাধ্যমে পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে আশরাফ গুলিতে মারা গেছেন।