আমেরিকায় প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দিন ধরে অভিযোগ ছিল, বিভিন্ন বিষয়ে উসকানিমূলক ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করছেন। তুমুল জনপ্রিয় এই ইউটিউবারের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলছিলেন না। এবার মনে হয় কিছুটা ধরে খেয়ে গেলেন ইলিয়াস। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলামকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে ঝাড়ু মিছিল হয়েছে। বুধবার ফরিদপুরের নগরকান্দায় ঝাড়ু মিছিলটি বের করেন করে স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
মিছিলটি সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা যুবদল নেতা তৈয়াবুর রহমান মাসুদ, হেলাল উদ্দিন হেলাল, উপজেলা যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম বাবু প্রমুখ। তারা সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে শামা ওবায়েদকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করেন এবং প্রকাশ্যে সাংবাদিককে ক্ষমা প্রার্থনা করার আহ্বান জানান।
একই দিন বিকেলে সালথা উপজেলায় ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় ছাত্র-দলের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরীর ইমদাদ আলী সিদ্দিকী খসরু, ফরিদপুর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাইফুল আলম, সালথা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম, যুবদল নেতা আবুল খায়ের, বালাম হোসেন, শ্রমিক দল নেতা কালাম হোসেন প্রমুখ। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, শামা ওবায়েদকে হেয় করতে তাকে নিয়ে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন নানা ধরনের মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছেন। যা ফরিদপুর-২ আসনের জনগণ মেনে নেবে না। আমরা সাংবাদিক ইলিয়াসকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাই।
সম্প্রতি একটি ভিডিও কন্টেন্টে ইলিয়াস হোসেন দাবি করেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ভারতের লিয়াঁজু রয়েছে। তার সঙ্গে শেখ হাসিনার যোগাযোগ হয়। শেখ পরিবারকে রক্ষা করে চলছেন তিনি। শামা ওবায়েদের ওপর নজর রাখতে বিএনপির নেতৃত্বকে আহ্বান জানান ইলিয়াস। তার এমন বক্তব্য ফরিদপুর বিএনপিতে শামা ওবায়েদের অনুসারীরা ভালোভাবে নেয়নি। প্রতিবাদে ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল বের করেন তারা।
একই ভিডিওতে ইলিয়াস হোসেন দাবি করেন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ভারতের লবিং মেইনটেইন করেন। এমন মন্তব্য করায় জামায়াত প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইলিয়াস হোসেনের সমালোচনা করে এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে, জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শিক দল। জামায়াতে ইসলামীর সকল কার্যক্রম প্রকাশ্য। শুধু ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের নয় বরং জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাকর্মী অন্য কোনো দেশের লবিং মেইনটেইন করে চলেন না। জামায়াতের প্রত্যেক নেতাকর্মী দলীয় আদর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত হন। জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতা বা কর্মীর দেশ-বিদেশের কারও সঙ্গে লবিং করে চলার কোনো সুযোগ নেই।