০১ জানুয়ারি ২০২৫ , ১৭ পৌষ ১৪৩১ 

বিশাল বাংলা

বরিশালে জনতার হাতে আটক দুই ট্রাকে যা ছিল

বাংলা ওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫৫, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বরিশালে জনতার হাতে আটক দুই ট্রাকে যা ছিল

বরিশাল সদর উপজেলার কাগাশুরা গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে সচিবালয়ের ‘গোপন নথি’ সন্দেহে দুই ট্রাকভর্তি কাগজপত্র আটক করেন। পরে খবর দেন কাউনিয়া থানায়। পুলিশ এসে ট্রাক দুটি আটক করে। পরে জানা যায়, ট্রাক দুটিতে সচিবালয়ের কোনো গোপন নথি নেই, আছে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) পুরোনো কাগজপত্র। যাচাই-বাছাই শেষে ট্রাক দুটি আবার ইইডি অফিসে নিয়ে আসে কর্তৃপক্ষ।

বরিশাল ইইডি অফিস সূত্র বলছে, নিয়ম অনুযায়ী পুরনো কাগজপত্র ধ্বংস করার জন্য গত ২৫ নভেম্বর একটি কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয় সহকারি প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আফজাল হোসেনকে আর সদস্য সচিব সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমানকে। এ কমিটি ১৯৮৯ সালে থেকে রক্ষিত পুরনো ও বাতিল কাগজপত্র বিনষ্ট করার সুপারিশ করে। পুরাতন এ কাগজপত্রগুলোর মধ্যে ছিল বিভিন্ন সময়ের পত্রিকা ও দরপত্রের নোটিশ।

সূত্র আরও বলছে, গত ১৫ ডিসেম্বর কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এসব কাগজপত্র বিনষ্ট করার জন্য অফিস আদেশ জারি করেন বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম। অফিস আদেশে বলা হয়, পুরাতন কাগজপত্র যাচাই বাচাই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পুরাতন কাগজপত্র বিনষ্ট করার জন্য সহকারি প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আফজাল হোসেন এবং উপ সহকারি প্রকৌশলী মো. ইউসূফকে দায়িত্ব দেওয়া হলো। আগামী ১৫ কার্যদিবেসের মধ্যে ছুটির দিনে উপস্থিত থেকে বাতিল কাগজ পত্রগুলো পুড়িয়ে বিনষ্ট করে নিম্নস্বাকরকারীর নিকট প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, বিধি মোতাবেক পুরনো কাগজপত্র ধ্বংস করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। সে কমিটির সুপারিশের আলোকেই এসব কাগজপত্র বিনষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া যায়। কমিটির সুপারিশ ও অফিস আদেশ আমাদের ওয়েবসাইটে আছে।
 
তিনি আরও বলেন, বহু বছরের পুরোনো কাগজপত্র, সেই সঙ্গে অফিসের কাঠের আসবাবের ভেঙে যাওয়া কিছু মালামাল নথি বিনষ্টের জ্বালানি হিসেবে পুড়িয়ে ফেলার জন্য কাউনিয়া এলাকার ময়লাখোলায় পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ট্রাকচালক ও ভাড়াটে শ্রমিক এসব কাগজ ও মালামাল বিক্রি করে দিতে চেয়েছিল। এ কারণে ঘটনাস্থলে না গিয়ে তাঁরা অন্যত্র যাওয়ায় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। ইতোমধ্যে উদ্ধতন কৃর্তপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে, তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাউনিয়া থানা–পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এলাকার লোকজন ট্রাক দুটি আটক করে। পরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সেখানে যান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ট্রাক দুটি তাঁদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে একটি লিখিত বিবরণী দিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে ট্রাক দুটি ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

সম্পর্কিত বিষয়: