১০ জানুয়ারি ২০২৫ , ২৬ পৌষ ১৪৩১ 

বিশাল বাংলা

রাজশাহীতে ‘বিষাক্ত মদ’ পানে নিহত ৪

বাংলা ওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৫৭, ৯ জানুয়ারি ২০২৫

রাজশাহীতে ‘বিষাক্ত মদ’ পানে নিহত ৪

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় বিষাক্ত মদ পানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অসুস্থ আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহতরা হলেন- দুর্গাপুর গ্রামের সোলেমান আলীর ছেলে মন্তাজ আলী (৪২), ময়েজ মণ্ডলের ছেলে টুটুল (২৮), মোংলার ছেলে একদিল (৫০) এবং করিষা গ্রামের তুজাম্মেলের ছেলে জুয়েল (২৫)।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মামলার পর দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; যাদের মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি পুলিশের।

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে মদ পানের পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তিনজন ও বৃহস্পতিবার একজন মারা যান বলে জানান রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার।

নিহতদের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে একদিল আর বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে অন্য তিনজন মারা যান।

চিকিৎসাধীন আছেন- দুর্গাপুর গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে পিন্টু (৩৫), একই গ্রামের প্রয়াত জাহান আলীর ছেলে আকবর (৪৬), সাঈদ আলীর ছেলে মোনা (২৮) এবং আফসার আলীর ছেলে ফিরোজ হোসেন (২৮)।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার মতিহার গ্রামের মহিরের ছেলে মুকুল (৩৯) এবং ধোপাঘাটা গ্রামের গফুরের ছেলে জনি (৪২)।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র সংকর কে বিশ্বাস বলেন, “তারা চুলাই মদ পানের পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর দুইজন মারা যান। আর হাসপাতালে পৌঁছার আগে দুইজন মারা যান।

তিনি আরও বলেন, “এ ছাড়া যে চারজন চিকিৎসাধীন আছেন তাদের অবস্থা স্থিতিশীল। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার বলেন, মদ পানে মারা যাওয়া মন্তাজের ছেলে মাসুম রানা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন, “উপজেলার ধোরর্সা গ্রামের হান্নান দেশি মদের ব্যবসা করেন। মঙ্গলবার রাতে তার কাছ থেকে মদ ক্রয় করে মন্তাজের বাড়িতে বসে পান করেন তারা।
তিনি আরও বলেন, “তবে সেখানে কতজন একসঙ্গে মদ পান করেছিলেন, তা জানতে পারিনি। এতে অসুস্থ চারজন মারা গেছেন এবং চারজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা ভাল না বলে শুনেছি।”
পুলিশের অনুমতি পেয়ে চারজনের লাশ দাফন করা হয়েছে বলে আব্দুর রশিদ জানান।

সম্পর্কিত বিষয়: