কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে গুরুতর ১২ জনকে কুষ্টিয়ার আড়াইশ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল এবং চয়জনকে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি নেতারা একে অপরকে দোষারূপ করেছেন।
রোববার বিকালে উপজেলার মিটন বুরাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে বলে মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান।
এ ব্যাপারে জামায়াত নেতা মকলেসুর রহমান মুকুল বলেন, সভাপতি পদ থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য তার ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল রাশেদ মাহমুদ নাসির। শনিবার রাতে নাসির তাকে হুমকিও দেয়।
“এর প্রতিবাদে রোববার বিকালে স্কুলে মাঠে প্রতিবাদ সভার আযোজন করা হয়। তখন প্রতিপক্ষের লোকজন এসে হামলা চালায়।”
এ বিষয়ে জানতে বুড়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা রাশেদ মাহমুদ নাসিরের মোবাইলে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে এ বিষয়ে মিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহমত আলী রব্বান বলেন, “অনেকেই আজকের দুই পক্ষের হামলা ও মারামারি নিয়ে রাজনৈতিক বা দলীয় রং লাগাচ্ছেন; যা আদৌ ঠিক না।
“প্রকৃত তথ্য হল, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গোষ্ঠীগত বিরোধ চলে আসছিল। এর আগেও এই গোষ্ঠীগত বিরোধ দেখা দিয়েছিল। আজকের ঘটনাও ওইভাবেই ঘটেছে। এর সঙ্গে দলীয় কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”