১০ জানুয়ারি ২০২৫ , ২৬ পৌষ ১৪৩১ 

আইন আদালত

 ‘এই দিন দিন না, আরও দিন আছে’

বাংলাওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৯, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

 ‘এই দিন দিন না, আরও দিন আছে’

রাজধানীতে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে তোলা হয়েছে। পাঠানো হয়েছে আট দিনের রিমান্ডে। তবে মচকালেও ভাঙেননি কামরুল। আদালতেই দিয়েছেন কঠিন হুমকি। বলেছেন- এই দিন দিন নয়, আরও দিন আছে। সব দিন তো একরকম যায় না। সামনে ভালো দিন আসবে।

মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে একটি হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানিকালে এসব কথা বলেন কামরুল। এর আগে সকাল ৭টার দিকে কামরুল ইসলামকে নিউমার্কেট থানায় করা ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ডিবি। 

সকাল ৯টায় কামরুল ইসলামকে আদালতে তোলা হয়। তার পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা ঘোর বিরোধিতা করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁর বিভিন্ন ভূমিকা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

একপর্যায়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন- নিউমার্কেট এলাকা আমার অধীনে না। ওই এলাকার এমপি আমি নিজেও না। এ মামলায় আমাকে ৫৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে। আমার নামটি হয়তো শেষ মুহূর্তে ভুলে এজাহারে লিখে দেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে আমি কোনো ভূমিকায় অংশ নেইনি। আমাকে মিথ্যাভাবে মামলায় আসামি করা হয়েছে।’

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা হইচই শুরু করেন। আদালতে উৎসুক কিছু আইনজীবী কামরুল ইসলামকে উদ্দেশ করে গালিগালাজ করেন। ওই সময় কামরুল ইসলাম বলেন- এই দিন দিন না, আরও দিন আছে। সব দিন তো একরকম যায় না। সামনে ভালো দিন আসবে। তখন আদালতে উপস্থিত উৎসুক আইনজীবীরা আরও ক্ষিপ্ত হন। পরে আদালত কামরুল ইসলামের ৮ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অন্য অনেক প্রভাবশালী নেতার মত সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামকেও প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক সময়ের প্রভাবশালী এই নেতা ২০০৮ নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যান। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ পর্যন্ত টানা চারবার তিনি বিজয়ী হন।

নবম সংসদে জয়ের পর ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় তিনি আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। সরকারের পরের মেয়াদে ২০১৪ সালে তাকে খাদ্যমন্ত্রী করা হয়। তবে পরের দুই মেয়াদের মন্ত্রিসভায় তার জায়গা হয়নি।