বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার উত্তরায় ব্যবসায়ী ইশতিয়াক হত্যাচেষ্টার মামলায় ই-ক্যাবের সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সার তিন মাসের জামিন পেয়েছেন।
মঙ্গলবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ।
শমী কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম হামিদুল মেসবাহ। গত ৮ ডিসেম্বর তার জামিন চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর রাতে উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৩ দিনের রিমান্ড শেষে গত ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠায় ঢাকার আদালত।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীকে ‘হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা হয়। এতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় গানভিত্তিক দেশের একমাত্র বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন ‘গান বাংলার' ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপস ৯ নম্বর ও শমী কায়সার ২৪ নম্বর আসামি।
গত ৪ নভেম্বর রাতে উত্তরা থেকে কৌশিক হোসেন তাপস গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিন ধরা হয় শমী কায়সারকে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার ও লেখক, গবেষক, শিশু সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সার দম্পতির সন্তান শমী কায়সার নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। পরে তিনি প্রযোজনায়ও নাম লেখান।
শমী অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন তিনি ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি ছিলেন। হয়েছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালকও।
গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ১৪ অগাস্ট ই-ক্যাব সভাপতির পদ ছাড়েন শমী কায়সার।
তিনি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। চলতি বছর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি।