১০ জানুয়ারি ২০২৫ , ২৬ পৌষ ১৪৩১ 

আইন আদালত

পল্লী বিদ্যুৎতে গ্রেপ্তার আতঙ্ক, রিমাণ্ডে ৬ কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশিত: ২২:২৩, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

পল্লী বিদ্যুৎতে গ্রেপ্তার আতঙ্ক, রিমাণ্ডে ৬ কর্মকর্তা

আন্দোলন প্রত্যাহার করার পরও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতি ও দেশের বিভিন্ন সমিতিতে যৌথ বাহিনীর তৎপরতায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে আটক হওয়া আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়ককে শুক্রবার আদালতে নেওয়া হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ আদালত।
তিন দিনের রিমান্ড আদেশ পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন, প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস (এজিএম, মুন্সীগঞ্জ), দীপক কুমার সিংহ (ডিজিএম, কুমিল্লা), আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া (ডিজিএম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া), বেলাল হোসেন (ডিজিএম, সিরাজগঞ্জ), রাহাত (ডিজিএম, মাগুরা), মনির হোসেন (এজিএম, নেত্রকোণা)।
বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা দুই মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ছয় কর্মকর্তার তিন দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
তাদের মধ্যে মুন্সিগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শ্রী দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাহাত, নেত্রকোণার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেনকে এক মামলায় এবং সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বেলাল হোসেনকে অপর মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক আশিকুর রহমান দেওয়ান ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান। অন্যদিকে তাদের আইনজীবী রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন।
দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের একীভূতকরণ এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল সমিতিগুলো। দুই দফা দাবি বাস্তবায়নে ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বৃহস্পতিবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ শুরু করে সমিতিগুলো।
বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হয় পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন গ্রাহকদের। পরে সমিতিগুলোর অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যরা অনেক সমিতির অফিসের সামনে অবস্থান নেন।
পরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের অনুরোধে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত করে আন্দোলনকারীরা।