বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপা ও শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর আগে সব ধরনের সহায়ক বই ছাপা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
গত মঙ্গলবার এনসিটিবির সচিব শাহ্ মুহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, যথাসময়ে শিক্ষার্থী হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যপুস্তক পৌঁছানো সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার কার্যক্রম। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ কার্যক্রম শুরু করতে ইতিমধ্যে যথেষ্ট বিলম্বর হয়েছে।
আরও বলা হয়, বর্তমানে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের সব শিক্ষাধারায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম ও সমমান শ্রেণি পর্যন্ত বিনা মূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাধাই ও সরবরাহের কাজ চলমান আছে। এ কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখা ও বেগবান করা সংশ্লিষ্ট সবার জাতীয় ও নৈতিক দায়িত্ব। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের যথাসময়ে পাঠ্যপুস্তক প্রাপ্তিতে সহায়তার জন্য পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহ কার্যক্রম শেষের আগ পর্যন্ত সব প্রকার সহায়ক বই মুদ্রণ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হলো।
এদিকে পাঠ্যবই ছাপার আগে পাণ্ডুলিপি কীভাবে সহায়ক বই ব্যবসায়ীদের হাতে পৌঁছেছে তা খুঁজে বের করতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে এনসিটিবি। কমিটিতে এনসিটিবির সদস্য প্রফেসর রবিউল কবীর চৌধুরীকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের এই কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।