সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারকে ক্যাডার-বহির্ভূতকরণের প্রচেষ্টা প্রতিরোধ এবং শিক্ষা ক্যাডারের ১৫ দফা দাবি পূরণ করতে আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিয়েছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে দাবি পুরণে আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। না হলে ৩১ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে|
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে েএসব তথ্য জানান সংগঠনটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হোক। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান উদ্যোগ না দেখা গেলে সমিতির নেতৃবৃন্দ আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করবে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাজিব উদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে সরকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে সংস্কার সাধনে মোট ১১টি কমিশন গঠন করেছে। আশা ছিল জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৬ ক্যাডারের মধ্যে বিরাজিত আন্তঃ ও অন্তঃক্যাডার বৈষম্যসমূহ চিহ্নিত করে রাষ্ট্রের সিভিল প্রশাসনকে অধিকতর কার্যকর, গতিশীল ও যুগোপযোগী করার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান মহোদয় সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের সুপারিশে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে ক্যাডার বহির্ভূত রাখার যে পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করেছেন, তা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১৬ হাজার কর্মকর্তাকে তীব্রভাবে আহত করেছে। তিনি আরও বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন চেয়ারম্যানের ঘোষণা শিক্ষা ক্যাডারের সব সদস্যকে অন্তহীন উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এটা রাষ্ট্রকে দীর্ঘ মেয়াদে অস্থিতিশীল করার মতো একটি পদক্ষেপ বলে আমরা মনে করি।
সংবাদ সম্মেলনে উপসচিব পদে শতভাগ কোটা উন্মুক্ত করা, কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, শিক্ষাক্যাডারে ৬ স্তরে পদ সোপান সৃষ্টি, বদলি নীতিমালা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন, শিক্ষাকে নন-ভেকেশন বিভাগ গেঅষণা, অধ্যাপক গ্রেড তৃতীয়তে উন্নীত করাসহ ১৫ দফা দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. রুহুল কাদির, অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আলম মাহমুদ সোহেল, অধ্যাপক সৈয়দ মইনুল হাসান, অধ্যাপক মুহাম্মদ ফাতিহুল কাদির প্রমুখ।