যুক্তরাষ্ট্রে নবনির্বাচিত রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর হোয়াইট হাউজে তার প্রথম দিনেই অভিবাসন এবং মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল প্রশ্নে বেশ কিছু নির্বাহী পদক্ষেপ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা এমন কথাই জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তারা জানান, ট্রাম্পের নির্বাহী ওইসব পদক্ষেপের ফলে কেন্দ্রীয় অভিবাসন কর্মকর্তারা অপরাধের রেকর্ড নাই এমন মানুষদেরও গ্রেপ্তার করার এখতিয়ার পেয়ে যাবেন, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে তারা সেনা বাড়াতে পারবেন এবং সীমান্ত দেয়াল নির্মাণের কাজও ফের শুরু করতে পারবেন।
সম্প্রতি কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন মানবিক কর্মসূচির আওতায় লাখ লাখ অভিবাসীকে বৈধভাবে প্রবেশের যে অনুমতি দিয়েছিল, ট্রাম্প তাও বন্ধ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি বসবাসের নির্দিষ্ট সময় পেরোনোর পরেও যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে, তাদের স্বেচ্ছায় চলে যেতে উৎসাহিতও করতে পারেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের প্রাথমিক নির্বাহী পদক্ষেপে তার অভিবাসন কর্মসূচির বাস্তবায়ন শুরু হয়ে যাবে, যার প্রতিশ্রুতি তিনি নির্বাচনি প্রচারের সময় দিয়েছিলেন। নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসীকে বের করে দেওয়া হবে বলে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসী বৈধতা পায়নি। এ সংখ্যা হয়ত বেড়েও গেছে। নিউ ইয়র্ক, শিকাগো ও ডেনভারসহ কয়েকটি শহর অভিবাসীদের আশ্রয় ও সাহায্য দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
রিপাবলিকান ট্রাম্প গত ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করেন। হ্যারিস এবং বাইডেন প্রশাসন বহু সংখ্যক অবৈধ অভিবাসী দেশে ঢুকতে দেওয়াকে তাদের প্রচারের কেন্দ্রে রেখেছে বলে তিনি দাবি করেন।
ট্রাম্প এখনও ক্ষমতা নেননি। এ প্রক্রিয়া প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং ২০ জানুয়ারিতে ট্রাম্পের অভিষেকের আগে তার পরিকল্পনা পরিবর্তন হতে পারে। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে অভিবাসী গ্রেপ্তার রেকর্ড পর্যায়ে ছিল। বাইডেন প্রশাসন নতুন করে সীমান্তে বিধিনিষেধ আরোপ করায় এবং মেক্সিকো আইন প্রয়োগে কড়াকড়ি করায় এ বছর সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের প্রবেশ নাটকীয়ভাবে কমেছে।