যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস তার মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। তার চিকিৎসক এই রিপোর্টের সঙ্গে এক চিঠিতে লিখেছেন, হ্যারিসের স্বাস্থ্য চমৎকার এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য শারীরিক ও মানসিক শক্তি তার আছে।
হোয়াইট হাউজের বিলি করা চিঠিতে হ্যারিসের চিকিৎসক জোশুয়া সিমন্স জানিয়েছেন, “হ্যারিস সর্বশেষ এপ্রিলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছিলেন। তাতে তেমন কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। অনেক ব্যস্ত থাকার পরও হ্যারিসের জীবনধারা যথেষ্ট সক্রিয় এবং তিনি খুবই স্বাস্থ্যকর খাবার খান। মাঝে মাঝে তিনি মৌসুমী অ্যালার্জি এবং ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। তিনি তামাক সেবন করেন না আর মদ পানও করেন সামান্য।
“প্রেসিডেন্ট, প্রধান নির্বাহী, রাষ্ট্রের প্রধান এবং কমান্ডার ইন চীফ হিসাবে সব কাজ সফলভাবে সামলানোর জন্য হ্যারিসের প্রয়োজনীয় শারিরীক এবং মানসিক স্থিতিস্থাপকতা আছে।”
হ্যারিস মেডিকেল রেকর্ড প্রকাশের পর এখন আশা করছেন যে, তার প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পও তার মেডিকেল রেকর্ড প্রকাশ করার জন্য চাপে পড়বেন।
হ্যারিসের একজন সহযোগী বলেছেন, ৫৯ বছর বয়সী হ্যারিস ৭৮ বছর বয়সী ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ছেন। ট্রাম্পের মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশে অস্বীকৃতির বিষয়টিতে মানুষের মনোযোগ আকৃষ্ট করতেই হ্যারিস শনিবার তার স্বাস্থ্য তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন।
হ্যারিসের প্রচার শিবির ট্রাম্পের বেশি বয়সের বিষয়টি নিয়ে এখন প্রচার চালাতে উৎসুক। কারণ, ৮১ বছর বয়স্ক বাইডেন নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে যাওয়ার পর এখন ট্রাম্পই নির্বাচনের মাঠে সবচেয়ে বয়স্ক প্রার্থী।
ভোটোরদের মধ্যে জনপ্রিয়তার দিক থেকে ট্রাম্প এবং হ্যারিসের ব্যবধান খুবই কম। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের অনেক বেশি বয়স এবং স্খলিতভাবে চলার প্রবণতার বিপরীতে হ্যারিসের তুলনামূলক তারুণ্য এবং মানসিক দৃঢ়তাকে সামনে নিয়ে আসতে চাইছে তার প্রচার শিবির।