ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে পৌঁছে গেছে বলে মঙ্গলবার সিরিয়ার নিরাপত্তা সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে গোলান মালভূমি সংলগ্ন একটি বাফার জোন দখল করে নেওয়ার পর রাতভর দেশটির সেনা ও বিমান ঘাঁটিগুলোতে বিমান হামলা চালায়।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা সূত্রগুলো এবং সিরিয়ার পতন হওয়া সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সারারাত ধরে সিরিয়াজুড়ে সামরিক স্থাপনা ও বিমান ঘাঁটিগুলোতে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, এতে বহু হেলিকপ্টার ও জঙ্গি বিমান ধ্বংস হয়েছে। এর পাশাপাশি দামেস্ক ও এর আশপাশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় রিপাবলিকান গার্ডের সম্পদ ধ্বংস হয়েছে।
তারা জানিয়েছেন, প্রায় ২৫০ বার চালানো এসব বিমান হামলায় সিরিয়ার সেনাবাহিনীর আর কোনো সম্পদ অবশিষ্ট নেই।
ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের বিমান হামলা কয়েকদিন ধরে চলতে পারে। কিন্তু দেশটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছে, তারা সিরিয়ার সংঘাতে হস্তক্ষেপ করছে না। ইসরায়েল দাবি করেছে, শুধুমাত্র নিজেদের নিরাপত্তার সুরক্ষায় তারা ‘সীমিত ও সাময়িক পদক্ষেপ’ গ্রহণ করেছে।
রোববার সিরিয়ার ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের জোটের বিদ্যুৎগতির আক্রমণে রাজধানী দামেস্ক ও প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন হয়। এর দুই দিন পরই দেশটিতে সামরিক অভিযান চালালো ইসরায়েল।
আল কায়েদার সাবেক শাখা জঙ্গি গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বাধীন ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের হাতে দামেস্কের পতন হওয়ায় এরপর কী হতে যাচ্ছে তা নিয়ে বিচলিত সিরিয়ার বহু বাসিন্দা, ওই অঞ্চলের দেশগুলো ও বিশ্ব শক্তিগুলো।
সিরিয়ার এক নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা কাতানা পৌঁছে গেছে।
এই এলাকাটি ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমিকে সিরিয়া থেকে পৃথক করা অসামরিকৃত এলাকার পূর্ব দিকে সিরিয়ার ভূখণ্ডের ১০ কিলোমিটার ভেতরে। এ বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ইসরায়েল বলেছে, তারা সিরিয়ার সংঘাতে জড়াবে না আর তাদের বাফার জোন দখল করা একটি প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ।
মিশর, কাতার ও সৌদি আরব সিরিয়ায় ইসরায়েলের অনুপ্রবেশের নিন্দা করেছে। সৌদি আরব সতর্ক করে বলেছে, “এই পদক্ষেপ সিরিয়ার নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারের সুযোগগুলোকে নষ্ট করতে পারে।”