দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে তার দায়িত্ব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে সামরিক আইন জারি করার কারণে পার্লামেন্টের ভোটে অভিশংসিত করা হয় তাকে।
আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) অভিশংসনের কয়েক ঘণ্টা পর দেশটির স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ২৪ মিনিটে তার বরখাস্তের আদেশ জারি হয়, খবর বিবিসির।
দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত ও রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে তার যে ক্ষমতা ছিল তা কেড়ে নেওয়া হলেও সাংবিধানিক আদালত তার রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণ না করা পর্যন্ত তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান, আইন ও প্রটোকল নির্দেশিকা অনুযায়ী ইউন কিছু ক্ষমতা হারালেও তার কিছু ক্ষমতা বজায় থাকবে।
রয়টার্স জানায়, ইউনের প্রধান সাংবিধানিক ক্ষমতা ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী হান দক-সুর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসবের মধ্যে কূটনৈতিক চুক্তি, কূটনৈতিক নিয়োগ এবং পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও একত্রিকরণ বিষয়ক জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে গণভোটে দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করবেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট।
ইউন সামরিক আইন জারির ও কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার এক ক্ষমতা, সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব এবং ফৌজদারি অভিযোগের তদন্ত থেকে রেহাই পাওয়ার সুযোগ হারাবেন।
মন্ত্রিসভার সদস্যসহ সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং সাংবিধানিক আদালতের তিনটি খালি পদে নিয়োগ দেওয়ার তার ক্ষমতাও স্থগিত থাকবে।
তার এসব ক্ষমতা স্থগিত হলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে থেকে যাওয়ার কারণে তার সরকারি বাসভবনও থাকবে। প্রেসিডেন্টের গাড়িবহর, বিমান ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাওয়া নিরাপত্তা ব্যবহার করতে পারবেন তিনি।
ইউন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার বার্ষিক এক লাখ ৭০ হাজার ডলার বেতনও তুলতে পারবেন।
যদি ইউন শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের পদ হারান তাহলে সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে যেসব সুবিধা তার পাওয়ার কথা ছিল সেগুলো আর পাবেন না। এসব সুবিধার মধ্যে তার বেতনের প্রায় ৯৫ শতাংশ পেনশন হিসেবে পাওয়া ও সরকারি খরচে সর্বোচ্চ চারজন কর্মী রাখার সুযোগ ছিল।
তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিরাপত্তা সু্রক্ষা পাবেন তিনি। কিন্তু তার ব্যক্তিগত দপ্তর, যানবাহন এবং তার ও তার পরিবারের চিকিৎসা খরচ আর পাবেন না।