০১ জানুয়ারি ২০২৫ , ১৭ পৌষ ১৪৩১ 

বিদেশ

দুই কারণে বিধ্বস্ত হতে পারে উড়োজাহাজটি

বাংলাওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

দুই কারণে বিধ্বস্ত হতে পারে উড়োজাহাজটি

পূর্ব এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটিতে ১৮১ জন আরোহী ছিলেন। এ ঘটনায় দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সিএনএন এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দক্ষিণ কোরিয়া রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেজু এয়ারের বিমানটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৮১ যাত্রী নিয়ে বহনকারী বিমানটি অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে পিছলে বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। আঘাতের ফলে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু ছিলেন। দেশটির স্থানীয় ফায়ারসার্ভিস কর্মকর্তার প্রাথমিকভাবে ধারণা, পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ল্যান্ডিং গিয়ারে গোলোযোগ তৈরি হয়ে এ দুর্ঘটনা হতে পারে।

মুয়ান ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান লি জিওং-হিউন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই দুর্ঘটনার কারণ পাখির আঘাত বা খারাপ আবহাওয়ার ঘটনা বলে অনুমান করা হচ্ছে এবং পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে যৌথ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক কারণ ঘোষণা করা হবে।’

এদিকে দুর্ঘটনার সকালে বিমানবন্দরের ফুটেজে পরিষ্কার নীল আকাশ দেখা গেছে। ফায়ার কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটিকেই এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলেছেন। এ ছাড়া উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময়কার একটি ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, অবতরণের সময় বোয়িং ৭৩৭-৮এএস মডেলের উড়োজাহাজটি রানওয়ে ধরে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ সেটিতে আগুন ধরে যায়।

কোরিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম এমবিসির একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মুয়ান বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের পর উড়োজাহাজটির ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। পুরো উড়োজাহাজে আগুন ধরে যাওয়ার আগ মুহূর্তে এই ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। মুয়ান শহরে বিমান দুর্ঘটনরার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মু “উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার” নির্দেশ দিয়েছেন বলে ইয়োনহাপ জানিয়েছে।