১২ মার্চ ২০২৫ , ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ 

শিল্প ও সাহিত্য

এবার বইমেলায় কমেছে নতুন বই, বেচাকেনাও

বাংলাওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:০৬, ১ মার্চ ২০২৫

এবার বইমেলায় কমেছে নতুন বই, বেচাকেনাও

অমর একুশে বইমেলায় এবার বেচাবিক্রি কম হয়েছে, নতুন বইও এসেছে কম, যা নিয়ে লেখক-প্রকাশকসহ সবারই ‘চিন্তা করা উচিৎ’ বলে মনে করছে মেলা পরিচালনা কমিটি।

শুক্রবার বিকালে সমাপনী অনুষ্ঠানে মেলার প্রতিবেদন তুলে ধরেন মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সরকার আমিন। প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলায় নতুন বই এসেছে ৩ হাজার ২৯৩টি। গত বছর মেলায় নতুন বই আসে ৩ হাজার ৭৫১টি; ৩ হাজার ৭৩০টি আসে তার আগের বছর।

মেলায় অংশ নেওয়া সব প্রকাশনী মিলিয়ে কত টাকার বই বিক্রি হয়েছে, তার পরিসংখ্যান এখনো জানাতে পারেনি মেলা পরিচালনা কমিটি।

তবে বাংলা একাডেমির বই বিক্রি কমেছে অর্ধেকের বেশি। বাংলা একাডেমি গত বছর মেলায় ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বই বিক্রি করে, তার আগের বছর করে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার৷ আর এবারের মেলায় (২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) বাংলা একাডেমি বই বিক্রি করে ৬১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৩ টাকার।

সরকার আমিন বলেন, এবার বই বিক্রি কম হয়েছে, প্রকাশও হয়েছে কম। ব্যাপারটি নিয়ে লেখক-প্রকাশকসহ সবারই চিন্তা করা উচিত। আমাদের বই বিমুখতার কারণ কী, তা নিয়েও ভাবা উচিত।

এবার বইমেলার ‘থিম’ ছিল ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’। বইমেলার অবয়বে ছিল তিনটি রংয়ের প্রাধান্য- লাল, কালো ও সাদা। আয়োজকদের ভাষ্য, লাল সংগ্রামের প্রতীক; কালো শোকের প্রতীক আর সাদা শান্তির প্রতীক।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মেলা উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৭ লেখকের হাতে তুলে দেওয়া হয় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার।

মেলায় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭০৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১০৮৪ ইউনিটের স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাংলা একাডেমিসহ ৩৭টি প্রতিষ্ঠান উভয় প্রান্তে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ পায়। এক ইউনিটের ৩৮৪টি, দুই ইউনিটের ২১৯টি, তিন ইউনিটের ৬১টি এবং চার ইউনিটের ২৩টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়।

শিশুদের জন্য ৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১২০টি ইউনিটের স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। লিটল ম্যাগাজিন চত্বরের অবস্থান রয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছে। এই চত্বরে ১৩০টি লিটলম্যাগ স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়।