বরং বিষ দাও
প্রেমিককে শুধিয়েছিলাম শ্লেষে
একফোঁটা জল চাও নাকি শরীর?
প্রেমিক সবিষ্ময়ে বলেছিল- একফোঁটা!
তাহলে বরং বিষ দাও।
জল তবু এক গ্লাস হলে চলে।
কিন্তু তোমার শরীর!
সে তো আমার পূন্যস্নানের গঙ্গা!
তাতে আমি বিসর্জন দিই-পাপ
পঙ্কিলতা, ক্লান্তি আর ক্লেদ।
তাকে যদি তুমি একফোঁটা দাও
তবে প্রেমের বড় কলঙ্ক হয় সখী।
এই তোমার হাত ধরলে দোষ নেই
ঠোঁট চাইলেই দোষ!
আর... আমি বললাম চুপ!
আর নয় একেবারে বাতুলতা।
প্রেমিক হেসে বলে- তোমার মধু ও মাধুর্য
শুষে আমি হয়ে উঠি এক চির অবুঝ শিশু।
বিসর্জন
প্রাণেশ বেগুনি অন্তর্বাসে তোমার উৎফুল্ল হাসি।
চোখের জলে উদাসীনতা।
শরীর ছোঁয়ার খেলায় তুমি বখতিয়ারের ঘোড়া।
দুঃখ ছোঁয়ার বেলায় তুমি পলায়নপর লক্ষ্মণসেন।
দুঃখ না ছুঁয়ে, পূজা না দিয়ে-
কে কবে পেয়েছে নারীর শরীর!
মন তো বহু দূরের কথা।
প্রাণেশ একবার পুজা আর প্রণয়ে ছুঁয়ে দেখো-
দুঃখের সুগভীর নাভিকমল
প্রিয়তমা তোমার বুকে বিসর্জিত হবে।
নারী
নারী কী নদী?
যার ভেতরে অনন্ত প্রবাহিত
মায়া- মমতা আর অশ্রু!
নাকি নারী এক বৃক্ষ?
যে বৃক্ষ ধারণ করে সভ্যতা, সংস্কৃতি
আর সকল প্রাণের পুণঃজন্মের বীজতলা।
নাকি নারী কেবলই এক ছলনাময়ী জোছনা?
যাকে মুঠোয় পুরেও অস্পৃশ্য রয়ে যায়!
নারী কী এক মিথ-
যাকে অনন্ত পাঠেও শেষ হয় না রহস্য!
তবু কেন নারীরও হাত কেটে রক্ত বের হয়?
ক্ষুধায় পেট জ্বলে যায়,
রোগে-শোকে অতঃপর ঢলে পড়তে হয়-
মৃত্যু নামক সেই প্রেমিকের কোলে!