মা
কতো কতো নিদ্রাহীন যামিনী
গেছে আমার কেটে ব্যালকনিতে
চোখের অশ্রুধারার প্লাবনে ভেসে!
শুধু আকাশের নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে
খুঁজেছি কেবলই মা তোমাকে!
আর শুধাইছি শুধু সমস্ত নক্ষত্ররাজীকে
তোমরা কি দেখেছো কভু আমার মাকে!
সেও কি থাকে তোমাদের সাথে?
কাঁচা হলুদের মতো গায়ের যার রঙ
নাক আর চোখ দুটো কি যে সুন্দর!
আছে চিবুকের ও নাকের পাশে
জ্বল জ্বল করা তিল একখানা!
হাত পায়ের আঙ্গুল গুলো ও
ভীষণ চোখা চোখা!
আমি যে আসছি শুনে
শিশু কাল থেকে
মানুষ হারিয়ে গেলে চিরতরে
সেও নাকি থাকে ঐ নক্ষত্রের সাথে!
কতো আর খুঁজব মা আমি তোমাকে
তারাদের ঐ মিছিলে!
কেন গেলে তুমি একা আমাকে
ফেলে রেখে চলে!
আমি ও যে খুব খুব চাই
তোমার সাথে
শান্তির চিরঘুমে যেতে।
২৯ নভেম্বর ২০২৪
গোধূলির কনে দেখা আলোয়
কত নিশি হয়েছে ভোর
তোমাকে ভেবে ভেবে।
কত না বলা কথা
গুমরে কেঁদে মরে
তোমার তরে।
কত প্রহর চায়
আকুলতা ব্যাকুলতায়
তোমাতে লীন হতে।
আমার প্রতিটা নিঃশ্বাস
শুধু তোমার কথা বলে।
চাইলেই কি ভুলে যাওয়া যাবে
গোধূলির কনে দেখা
আলোতে পাওয়া তোমাকে?
তাহলে যে হারিয়ে
ফেলতে হবে নিজেকে।
রাগ ক্ষোভ অভিমানে
যা কিছু বলি
কি এসে যায় তাতে?
তুমি শুধু রয়ে গেলে ভুল
ফুল হয়ে অকালে ঝরে!
কেন তুমি এসেছিলে
অবেলায় মোর দ্বারে?
কি করে বাঁচি আমি
এখন তুমি বিহনে?
প্রতি টা মূহুর্ত লড়ে যেতে হয়
ক্ষরণের বিদগ্ধ ঋদ্ধ অনুভবে!
৩০ নভেম্বর ২০২৪
প্রাণের খেয়ায়
কোন সুদূরে থেকে
তুমি এসেছিলে ভেসে
শুভ্র মেঘের ভেলায়
মোর প্রাণের খেয়ায়
তন্দ্রাহারা সুরের মূর্ছনায়
অপার বিমুগ্ধতার মাদকতায়!
বয়ে যেত মোদের সময় সারা বেলা
সুরের রাগিনীর খেলা
ভালোই তো ছিলাম মোরা
একই বৃন্তে দুটি ফুলের তোড়া!
নিশি না পোহাতেই
প্রভাত না আসাতেই
ফুল কেন হায়
অকালে ঝড়ে যায়!
বাসি ফুলে কি আর
কভু মালা গাঁথা যায়!
২৭ অক্টোবর ২০২৪