১৯ এপ্রিল ২০২৫ , ৫ বৈশাখ ১৪৩২ 

জাতীয়

সংসদ নির্বাচন করতে ২৮০০ কোটি টাকা চায় ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশিত: ১৯:০৯, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সংসদ নির্বাচন করতে ২৮০০ কোটি টাকা চায় ইসি

আগামী সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাতে প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্যও প্রায় সমান বরাদ্দ চেয়েছে কমিশন।

সরকারের কাছে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাব পাঠানোর কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশন-ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ।

জানতে চাইলে বুধবার তিনি বলেন, “আমরা সরকারের কাছে ২ হাজার ৭৯৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা চেয়েছি সংসদ নির্বাচনের জন্য। আমাদের এটা প্রাথমিক চাহিদা থাকলেও তা যাচাই-বাছাই করা হবে এবং ইসি সচিবালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর পূর্ণাঙ্গ একটা পরিমাণ চূড়ান্ত হবে।”

ইসির অতিক্তি সচিব বলেন, ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা সংসদ নির্বাচনের জন্য চাহিদা দিলেও তা কমে আসতে পারে। সবকিছু ভোটের সময়কার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। ইসি সচিবালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরই সম্ভাব্য ব্যয়ের সঠিক পরিসংখ্যা পাওয়া যাবে।

তুমুল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, এ নিয়ে আলোচনা চলছে।

চলতি বছরের শেষ বা আগামী বছরের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।

ইসি বলছে, সরকারপ্রধানের পরিকল্পনা ধরে তারা ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকার ব্যয় ব্যয় ধরা হয়েছিল। এরমধ্যে হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় ধরা হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা খাতে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭০০ কোটি টাকা।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দুই বছরের মাথায় হতে যাওয়া ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য আগের বারের চেয়ে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় বেশি ধরা হচ্ছে।

স্থানীয় নির্বাচনের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা

জাতীয় নির্বাচনের অগ্রাধিকারের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচনের জন্যও প্রায় সমান অর্থ বরাদ্দ চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্থানীয় সরকারের ভোট করার বিষয়ে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত না হলেও আর্থিক বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, “জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আরও খাত রয়েছে।”

সম্পর্কিত বিষয়: