১২ মার্চ ২০২৫ , ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ 

জাতীয়

ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী গণপদযাত্রায় পুলিশের বাধা, লাঠিপেটা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশিত: ১৮:২৯, ১১ মার্চ ২০২৫

ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী গণপদযাত্রায় পুলিশের বাধা, লাঠিপেটা

‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের গণপদযাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ। মিছিলকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। তখনই হাতাহাতি হয়। পুলিশের লাঠিপেটায় মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর ইন্টারকনটিনেন্টাল হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

৯ দফা দাবিতে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ আজ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে গণপদযাত্রা করে এবং স্মারকলিপি দিতে যায়। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে গেলে পুলিশ মিছিলকারীদের বাধা দেয়। এ সময় মিছিলকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হন।

পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা শুরু করে। পুলিশের লাঠিপেটার মুখে মিছিলকারীরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। তবে মিছিলকারীদের মধ্যে পাঁচজনকে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য যেতে দেওয়া হয়।

মিছিলে অংশ নেওয়া সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের একাংশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা সারা দেশে অব্যাহত আইনশৃঙ্খলার অবনতির অবনতির দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি। একই সঙ্গে দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠন করে মাগুরায় শিশু ধর্ষণকারীসহ সব ধর্ষণের ঘটনার বিচার দাবি করছি।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অদ্রিতা রয় বলেন, ‘যে মিছিলে সামনের সারিতে নারীরা ছিল সে মিছিলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পালিত পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এ রমজান মাসে আমাদের নারীদের পোশাক ছেঁড়া হয়েছে। মেয়েদের লাঞ্চিত করা হয়েছে। লাঠিচার্জ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, ‘তারা পদযাত্রা করার কথা বলেছেন, আমরা প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে তারা বাসভবনের দিকে ঢুকে যাওয়ায় আমরা বাধা দিই এবং বলি আপনাদের কোনো বক্তব্য থাকলে পাঁচজন প্রতিনিধি পাঠান। এতে তাদের একটা পক্ষ রাজি হলেও আরেকটা পক্ষ ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করে, আমাদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি হচ্ছিল। আমরা কোনোভাবেই লাঠিচার্জ করিনি।’

এ দিকে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জানতে চাইলে ছাত্রফ্রন্ট নেতা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ করব। ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী বাংলাদশ প্লাটফর্মের পরবর্তী কর্মসূচি এখনো গ্রহণ করা হয়নি। সবার সঙ্গে আলোচনা করে এটি ঠিক করা হবে।’