তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার প্রেক্ষাপটে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ খালি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর উপস্থিতিতে তাবলিগের সাদপন্থিদের এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
পরে একই জায়গায় তাবলিগের জুবায়েরপন্থিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। আইজিপি বাহারুল আলমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত আছেন।
প্রথম দফার বৈঠকের পর সাদপন্থিদের প্রতিনিধি রেজা আরিফ উপদেষ্টার উপস্থিতিতেই বলেন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অনুরোধে মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হতাহতের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা মাঠ ছেড়ে দিচ্ছি। অতীতে আমরা সরকারের সমস্ত কথা রেখেছি, সরকারের এই কথাটুকুও আমরা রাখছি। আমরা এরই মধ্যে সেখানে উপস্থিত সাথীদের বলে দিয়েছি মাঠ ছেড়ে দেওয়ার জন্য। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের সহযোগিতা করছে। এখন এখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সরকার মাঠের দায়িত্ব নেবেন, কেউ এখন মাঠে থাকবে না।
তাবলিগের জুবায়েরপন্থিদের উদ্দেশে রেজা আরিফ বলেন- উনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সরকারি সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিয়েছি, উনারাও যেন ইসলামের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে কোনো রকম সমস্যার চেষ্টা না করেন। উনারা যেন রাস্তায় নেমে না আসেন, উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার না করেন।
এদিকে গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের দখল ঘিরে তুরাগ নদের তীরবর্তী রাজধানী ঢাকার অংশে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পুলিশ।
এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
ডিএমপির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর কামারপাড়া, আবদুল্লাহপুর, উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদের দক্ষিণ, পশ্চিম এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।