চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাতজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। মালিকপক্ষ বলছে, জাহাজে কর্মরতদের সঙ্গে রোববার রাত ৮টার পর তাদের সবশেষ যোগাযোগ হয়েছিল।
তাদের দাবি, পরদিন সোমবার সকাল থেকে জাহাজটির কারও সঙ্গে তারা যোগোযোগ করতে পারছিলেন না। পরে আরেকটি জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করে আল বাখেরার খোঁজ মেলে। জাহাজটিতে মাস্টারসহ মোট আটজন কর্মী থাকার তথ্য দিয়েছে মালিকপক্ষ।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় মেঘনা নদীতে লাইটার জাহাজ আল বাখেরা থেকে পাঁচজনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে আরও তিনজনকে হাসপাতালে নিলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক।
রোমহর্ষক এ ঘটনার পর সোমবার রাতে জাহাজটির মালিক মাহবুব মোরশেদ বিপলু বলেন, “রোববার রাত ৮টার পর জাহাজের মাস্টারের সঙ্গে শেষবার কথা হয়। তখনও সব ঠিক ছিল। ওই সময় জাহাজটি চাঁদপুরের হজারিয়ার কাছাকাছি নদীতে ছিল। প্রতিদিনই আমি বা আমাদের প্রতিনিধিরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সোমবার সকাল থেকে তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। এ নিয়ে আমরা চিন্তিত ছিলাম।”
পরে আল বাখেরার কাছাকাছি থাকা অপর লাইটার জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য দিয়ে বিপলু বলেন, তারা ওই জাহাজের কাছাকাছি গিয়ে বিষয়টি বুঝতে পারে এবং নৌপুলিশকে খবর দেয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আপনারা যেমন জানেন, আমরাও ততটুকু জেনেছি। পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন তদন্ত করে বের করবে কী ঘটেছিল।“
ঘটনাটিকে দুঃখজনক বর্ণনা করে নৌপথে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলেন তিনি।
নিহতরা হলেন- জাহাজের মাস্টার কিবরিয়া, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রিজার সজিবুল, আজিজুল ও মাজেদুল ইসলাম। তবে একজনের নাম জানা যায়নি। আহত একজনের নাম জুয়েল। পুলিশের ভাষ্য, তাদের সবার বাড়ি নড়াইলে।
মালিক মাহবুব মোরশেদ বিপলু বলেন, জাহাজটি চট্টগ্রামের কাফকো থেকে ৭২০ টন ইউরিয়া সার নিয়ে রোববার ভোরে চট্টগ্রাম থেকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়।
নৌপুলিশ বলছে, সোমবার বিকালে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে তারা সেখানে গিয়ে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করে। জাহাজটি নোঙর করা ছিল। পরে আরও তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুজনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর অবস্থায় একজনকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।