২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১০ পৌষ ১৪৩১ 

জাতীয়

১৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ!

বাংলাওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০৩, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

১৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ!

সিলেট সীমান্ত থেকে ১৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল সোনাটিলা সীমান্ত এলাকায় রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা গেছে, রোববার রাতে ১৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে বিএসএফ সোমবার ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জুয়াই পুলিশ স্টেশনে হস্তান্তর করেছে। তবে তাদেরকে থানায় রাখা হয়েছে না কি কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে সে বিষয়টি সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ৪৮ বিজিবির সিলেট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।  

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, ধরে নিয়ে যাওয়া কয়েকজন শ্রমিকের স্বজন তার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের অবস্থান জানতে চেয়েছেন। আটকরা গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।  তবে সীমান্তে কেন তারা গিয়েছিলেন বা কীভাবে বিএসএফ তাদের ধরে নিয়ে গেছে সে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি ইউপি সদস্য মান্নান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত ৮টার দিকে ভারতীয় চিনি আনতে গোয়াইনঘাটের তামাবিল এলাকার সোনাটিলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে ১৩ বাংলাদেশি। পরে চিনির গুদাম থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। এরপর সোমবার দুপুরে তাদেরকে ভারতীয় পুলিশের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

সম্প্রতি সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে ৭৯ জেলে-নাবিকসহ বাংলাদেশি দুটি মাছ ধরার জাহাজ ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড। জাহাজ দুটি হলো এফভি মেঘনা-৫ ও এফভি লায়লা-২। বিষয়টি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় পক্ষ থেকেই নিশ্চিত করা হয়েছে। আটক নাবিক ও জেলেদের ছবিও প্রকাশ করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। তাদের ফেরানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
  
এ বিষয়ে সরকারের কাছে কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ চেয়ে জাহাজ মালিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাহাজ দুটির বিষয়ে কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা প্রয়োজন। আমরা প্রধান উপদেষ্টা, মৎস্য উপদেষ্টা ও মৎস্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হলে সে অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের টানাপোড়েনের সুত্রপাত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথার লড়াইয়ে নেমেছেন দুই দেশের নেটিজেনরা। সরকার পর্যায়েও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ভিসা ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিচ্ছে ঢাকা-দিল্লি। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলাতে ঢাকা সফর করে গেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।

সম্পর্কিত বিষয়: