প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের প্রতিবাদ সভায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত এক সভায় এ দাবি উঠে। প্রশাসন ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন কামাল এই দাবি তোলেন। সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা তাতে সমর্থন জানান।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর উদ্দেশ্যে ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আপনি তো পরীক্ষা দিয়ে পদোন্নতি নেননি। যেহেতু আপনি এ কাজ করেছেন, আপনি অবিলম্বে সংস্কার কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন।
মুয়ীদ চৌধুরী পদত্যাগ করে প্রশাসন ক্যাডারদের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানান তিনি।
বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, মুয়ীদ ভাই (সংস্কার কমিশন প্রধান) পারিবারিকভাবে কলঙ্কিত ব্যক্তি, বিতর্কিত কর্মকর্তা। তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের সদস্য ছিলেন, উনি নিজের জন্ম পরিচয় বলে গেছেন। আমরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুয়ীদ ভাইয়ের অপসারণ চাই। এই সময়ের মধ্যে তাকে অপসারণ না করলে কিভাবে অপসারণ করতে হয় সেই টুলস আমাদের জানা আছে।
প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের আজ থেকে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু হলো জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৪ জানুয়ারি মহাসমাবেশ ঘোষণার প্রস্তাব করছি। আমরা কালো ধারণ করব, কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করব, সংবাদ সম্মেলন করব।
'আমরা আর কোনো ক্যাডারের অস্তিত্ব দেখতে চাই না। সহকারী সচিব থেকে সচিব পর্যন্ত বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আজ আমাদের আন্দোলন শুরু হল, এই আন্দোলন চলবে।
গত ১৭ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সাংবাদিকদের জানান, উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতির সুপারিশ করবেন তারা।
২৫ শতাংশ কোটায় অন্য ক্যাডারের যেসব কর্মকর্তা উপসচিব পুলে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের এই পুল থেকে ‘পরিষ্কার’ করারও দাবি জানান জাকির হোসেন।
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এবং বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের যৌথ আয়োজনে এই প্রতিবাদ সভা হচ্ছে।
প্রশাসন ক্যাডারে চাকরিরত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি অবসরে যাওয়া এই ক্যাডারের কর্মকর্তারাও সভায় যোগ দিয়েছেন। বিভিন্ন জেলার ডিসি ও ইউএনওরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সভায় যুক্ত হয়েছেন।