পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার পিএসসির সেই গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর ১২টি ব্যাংক হিসাবে সোয়া ৪১ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় পৌনে চার কোটির জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাঁর নামে মামলা করেছে সংস্থাটি। মামলা হয়েছে তাঁর স্ত্রী ও ছেলের নামেও।
আজ রোববার ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
দুদকের মহাপরিচালক বলেন, আবেদ আলীর ১২টি ব্যাংক হিসাবে ৪১ কোটি ২৯ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর ৩ কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক। এর ভিত্তিতে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক তাঁর নামে মামলা করেছে।
আবেদ আলীর স্ত্রী শাহরিন আক্তারের নামেও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে বলে জানান দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, মামলায় শাহরিনের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২৬ লাখ ৬৩ হাজার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর ২টি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৬ টাকা জমা ও ১ কোটি ৭৭ লাখ ৬৪ হাজার ৯৫ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৪০ হাজার ৭৩১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত অভিযোগে রাজধানীর শেওড়াপাড়ার ওয়াসা রোডের নিজ ফ্ল্যাট থেকে সৈয়দ আবেদ আলী ও তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান ওরফে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় পিএসসির দুজন উপপরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ আরও ১৫ জনকে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর আবেদ আলী সিআইডির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছিলেন, তিনি অন্তত ৫০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক। ঢাকায় তাঁর একটি ছয়তলা বাড়ি, তিনটি ফ্ল্যাট ও একটি গাড়ি রয়েছে। গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের ডাসারে তাঁর ডুপ্লেক্স ভবন রয়েছে।