পৌষের শেষ প্রান্তে শেষে দেশজুড়ে হাড়কাঁপানো শীত পড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মাঝে কদিন অবশ্য শীতের অনুভূতি কিছুটা কম ছিল।
আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেছেন, সারাদেশে তাপমাত্রা কমছে। কাল, পরশু কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে৷
শীতের তীব্রতা যে আসছে তা টের পাওয়া গেছে সকাল থেকে। রাজধানীতে সকাল শুরু হয় কুয়াশার ঘেরাটোপে। সেই কুয়াশা কেটে রোদের দেখা মিলেছে দুপুর গড়িয়েছে।
আবহাওয়ার জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে একাধিক শৈত্যপ্রবাহের আভাস আছে। অধিদপ্তর বলছে, চলতি মাসে মৃদু থেকে মাঝারি পর্যায়ের শৈত্যপ্রবাহ থাকবে একটি থেকে তিনটি; আর এবং একটি থেকে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশজুড়ে।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
বুধবার আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে তিন এবং দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলা শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। আর মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত এ পরিস্থিতি থাকতে পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল যশোরে। আর সর্বোচ্চ ৩০ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সীতাকুণ্ডে।