১০ জানুয়ারি ২০২৫ , ২৬ পৌষ ১৪৩১ 

জাতীয়

‘মাজার, বাউল, কাওয়ালির আসরে হামলা টলারেট করবো না’

বাংলাওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

‘মাজার, বাউল, কাওয়ালির আসরে হামলা টলারেট করবো না’

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানিয়েছেন, মাজার বা বাউল সংগীত, কাওয়ালি গানের আসরে হামলা সহ্য করা হবে না। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে চীন দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। 

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, কোনো কোনো স্থানে মাজার বা বাউল সংগীত, কাওয়ালি গানের আসরে হামলা হচ্ছে। এটা আমরা টলারেট করবো না। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। এ নিয়ে জিরো টলারেন্স। শিল্পকলা একাডেমী প্রতি মাসে অনেক আয়োজন করছে। কোনো মাসে ৫২, ৭০ ও ৭৫টি অনুষ্ঠান আয়োহন করছে তারা। এই মাসে ১২টি সাধু মেলা ছিল। আগামী মাসে দ্বিগুণ করেছি আমরা। সেসময় ২৪টি সাধু মেলা হবে। এটা আমাদের উদ্যোগ।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি উদ্যোগে এই ধরনের আয়োজন হতেই থাকবে। শিল্প-সংস্কৃতির ব্যাপারে আমাদের সরকারের অবস্থান খুব পরিষ্কার। বাউলদের এই বার্তা দিয়ে দিলাম। নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীনকে আরো বেশি পাশে পাওয়া যাবে বলে আশা করছি আমরা।

আগের দিন বৃহস্পতিবার বাউল গান ও মাজারে হামলায় জড়িতদের বিষয়ে একই রকম হুঁশিয়ারি দেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। বৃহস্পতিবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘৫ অগাস্টের পর থেকে নানা সময়ে মাজারের পাশাপাশি কাওয়ালি গান বা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা হয়েছে। হামলার ব্যাপারে অনেক সময় স্পষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি; আমরা সেজন্য দুঃখিত। এখন থেকে কোনো গানের আসর অথবা মাজারে হামলা হলে আমরা ব্যবস্থা নেব; কাউকে ছাড় দেব না। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর বিভিন্ন জায়গায় মাজারে হামলা-ভাঙচুরের একাধিক ঘটনা ঘটেছিল। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে তখনও সরকারের পক্ষ থেকে এসব বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পরের কয়েক মাসে তা কমে আসে।

এর মধ্যে গত বুধবার ময়মনসিংহ শহরে শাহ সুফি সৈয়দ কালু শাহর মাজারে হামলা চালিয়ে মাহফিল, দোয়া ও সামা কাওয়ালি অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গভীর রাতে কয়েকশ মাদ্রাসা ছাত্র হামলা চালিয়ে ২০০ বছরের পুরনো মাজারটির একটি অংশ ভেঙে ফেলে। ময়মনসিংহের ওই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহফুজ বলেন, ‘৫ অগাস্টের পর যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছি। যারা বিক্ষুব্ধ আছেন মামলা করুন, আমরা পদক্ষেপ নেব।’