আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাষ্ট্রদ্রোহ ও বিভিন্ন নাশকতার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হয়। এর মধ্যে ১১টি মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। মামলা বাতিলে জারি করা রুল মঞ্জুর করে বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন, ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট তারেক ভূইয়া ও অ্যাডভোকেট এম সাব্বির আহমেদ।
পরে জয়নুল আবেদীন বলেন, আদালত উভয়পক্ষকে শুনে সবগুলো মামলায় রুল অ্যাবসুলেট করেছেন। অ্যবসুলেট করার মানে হচ্ছে এই মামলাগুলো কোয়াশড (বাতিল) হয়ে গেল। এই মামলাগুলো আর থাকল না। এখানে একটা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ছিল। সরকারের অনুমতি না নিয়ে এ মামলা করেছে। আইন হচ্ছে অনুমতি নিতে হয়। শুনানি শেষে আদালত এ মামলাও বাতিল করা হলো। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা এসব মামলা থেকে আজকে বেগম খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এই মামলাগুলো ২০১৬-১৭ সালের দিকে রুল ও স্টে হয়ে আছে। আজকে রুল শুনানি হয়েছে। এইসব মামলায় তিনি আগে জামিন পেয়েছেন। আজকে মামলাগুলোর পরিসমাপ্তি ঘটেছে।
কায়সার কামাল বলেন, এই মামলাগুলো ছিল বেআইনি। সেটা আজকে প্রমাণিত হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অনুমতি নিতে হয়। সেটা নেওয়া হয়নি। নাশকতার মামলা যে ধারায় করা হয়েছে, সেখানে পাবলিক প্রপার্টি হতে হয়। এখানে সবগুলো প্রাইভেট প্রপার্টি। সেটা তারা জেনেও মামলা দিয়েছে। আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত আছে, ফিজিক্যালি উপস্থিত খাকতে হবে। কিন্তু ম্যাডাম জিয়া তখন গুলশানে অবরুদ্ধ ছিলেন। তারপরেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এ মামলা দেওয়া হয়েছে।