শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সুখ-শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারেক রহমান এ কথা বলেন। এ উপলক্ষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে দুর্গাপূজা সব সময় উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপিত হয়ে আসছে। আর উৎসব হচ্ছে অন্ধকারে গহন থেকে আলোকের উদ্ভাসন। উৎসব যে ধর্মেরই হোক, উৎসবের প্রাঙ্গণ সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত। উৎসবের প্রাঙ্গণের দরজা কখনোই বন্ধ থাকে না।
বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, ‘সব ধর্মের মর্মবাণী দেশপ্রেম, শান্তি ও মানবকল্যাণ। এক বর্বর হিংসা যুদ্ধের বিপরীতে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া আমাদের সবার কর্তব্য। দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে হিংসা, লোভ ও ক্রোধরূপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে মানবিক সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। উৎপীড়ন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করে কুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠাই এই উপাসনার অন্তর্নিহিত তাগিদ।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সেই বাণীকে আত্মস্থ করেই দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দকে সবাই মিলে ভাগ করে নিতে হবে।
দুর্গাপূজার উৎসবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ দেশে ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশি। এটাই হোক আমাদের বড় পরিচয়। আমি এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নির্বিশেষে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সম অধিকার ও সুরক্ষার সমান সুযোগের অলঙ্ঘনীয় বিধান থাকতে হবে। আমাদের দেশ একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে জনগোষ্ঠীর সব সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করে আমরা সবাই মিলে এমন একটি যৌথ সম্প্রদায় গঠন করি, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়।’