২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭ পৌষ ১৪৩১ 

শোবিজ

প্রথমবারের মতো সৌদি আরব মাতাবেন জেমস

বাংলা ওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

প্রথমবারের মতো সৌদি আরব মাতাবেন জেমস


আগামী ২০ নভেম্বর সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো রিয়াদে যাচ্ছে নগরবাউল। সৌদির আমন্ত্রিত অনুষ্ঠানে বিনামূল্যে গান শুনতে পারবেন সংগীতপ্রেমীরা। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন নগরবাউল ব্যান্ডের ব্যবস্থাপক রুবাইয়াৎ ঠাকুর।

তিনি বলেন, ২০ নভেম্বর সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে রিয়াদে যাচ্ছে নগরবাউল। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে গান গাইবেন জেমস। দর্শকরা বিনামূল্যে গান শুনতে পারবেন।  আশা করি, ভালো একটা শো হবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

রুবাইয়াৎ ঠাকুর বলেন, সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে রিয়াদে যাচ্ছেন জেমস। ২২ নভেম্বর রিয়াদের আল-সুওয়াইদি পার্কে গান শোনাবে নগরবাউল। আয়োজনটির নাম রাখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ কালচার’, এটি সৌদি সরকারের আয়োজন রিয়াদ সিজনের অংশ।

রক্ষণশীলতার ঘেরাটোপ থেকে সৌদি সমাজকে বের করে আনতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ভিশন–২০৩০ পরিকল্পনার আওতায় ২০১৮ সালে বিনোদন জগৎ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়, খুলে দেওয়া হয় সৌদির সিনেমা হলগুলো। আয়োজন করা হয় চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শুরু করে কনসার্ট, ফ্যাশন শো ইত্যাদির। এরই ধারাবাহিকতায় আরেকটি উদ্যোগ ‘রিয়াদ সিজন’।

সৌদির মিনিস্ট্রি অব মিডিয়ার আমন্ত্রণে পেয়ে এবারের রিয়াদ সিজনে অংশ নিচ্ছে ৯ দেশ। এর মধ্যে আছে— দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। ১২ অক্টোবর শুরু হওয়া ৪৫ দিনের এ আয়োজন শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। এ উৎসবের লক্ষ্য সৌদি আরব ও অংশগ্রহণকারী এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়। উৎসবটি শীতকালীন বিনোদনের অন্যতম আয়োজন হিসেবে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করবে বলে আশা করছে সৌদি সরকার।

আমন্ত্রিত প্রতিটি দেশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এক সপ্তাহ। সেখানে এসব দেশের সংগীত, নৃত্য, ঐতিহ্যবাহী খাবার তুলে ধরা হচ্ছে। আয়োজনের সপ্তম সপ্তাহকে ‘বাংলাদেশ উইক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ২০ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।

এর আগে শেষ গত শুক্রবার ঢাকার মাটিকাটা রোডের সেনাপ্রাঙ্গণ মিলনায়তনে গান শুনিয়েছেন নগরবাউল জেমস। এদিন ‘কবিতা তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে খবর নিয়ো না’ গান দিয়ে কনসার্ট শুরু করেন জেমস। একে একে তিনি শোনান ‘দিওয়ানা মাস্তানা’, ‘গুরু ঘর বানাইলা’, ‘মা’, ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘মীরাবাই’, ‘তারায় তারায় রটিয়ে দেব’ ও ‘পাগলা হাওয়া’। গানের পাশাপাশি গিটারেও নৈপুণ্য দেখিয়েছেন নব্বইয়ের জনপ্রিয় এ রকস্টার।