
বাড়িতে ঢুকে বলিউড তারকা সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাত আঘাত করা ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে মুম্বাই পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তি ৩০ বছর বয়সী তরুণ। নাম মোহাম্মদ শরীফ উল ইসলাম শেহজাদ; তিনি বিজয় দাস নামেও পরিচিত। পুলিশের ধারণা, গ্রেপ্তার তরুণ বাংলাদেশি নাগরিক।
মুম্বাই পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সাইফকে হামলাকারী একজন বাংলাদেশি নাগরিক। তিনি পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং গত কয়েক মাস ধরে মুম্বাইতে বসবাস করছিলেন। ওই ব্যক্তি একটি হাউজকিপিং কোম্পানিতে কাজ করতেন। তাকে এখন জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত শেহজাদ সাইফ আলী খানের বাড়ির পেছনের ফায়ার এক্সিট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। তার বাড়ির পরিচারিকা তাকে দেখে চিৎকার করে ওঠেন। সাইফ আলী খান যখন তাকে থামানোর চেষ্টা করেন, তখন তিনি ছুরিকাঘাত করেন এবং পালিয়ে যান। আহত অভিনেতাকে দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন।
প্রসঙ্গত, মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় ‘সৎগুরু শরণ’ নামের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে সপরিবারে থাকেন সাইফ আলী খান। সেই বাড়িতে গত বুধবার গভীর রাতে ঢুকে এই অভিনেতাকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় প্রথমবার কারিনা কাপুর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, অভিনেত্রী ও তার দুই সন্তান সুরক্ষিত রয়েছেন।
আহত সাইফ আলী খানের মেরুদণ্ড থেকে ২.৫ ইঞ্চি একটি ছুরির টুকরো অপসারণ করতে পাঁচ ঘণ্টার দীর্ঘ অপারেশন করা হয়। ৫৪ বছর বয়সী এই অভিনেতা এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা নিরাজ উত্তমনির ভাষ্যে, সাইফ আলী খানকে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছিল, তখন তাঁর শরীর রক্তে ভেজা ছিল। তবু বলব যে তিনি খুবই সৌভাগ্যবান। অল্পের জন্য বেঁচেছেন নায়ক। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে মাত্র দুই মিলিমিটার দূরে ছুরিকাঘাত করেছিল। যদি ছুরি আর দুই মিলিমিটার গভীরে যেত, তাহলে তারঁ অবস্থা গুরুতর হতো। এখন তিনি স্ট্রেচার ছাড়াই হেঁটে বেড়াতে পারছেন। তিনি সত্যিকারের নায়ক।