২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৮ পৌষ ১৪৩১ 

সোশ্যাল মিডিয়া

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পর আলোচনায় সেই আতিকা

প্রকাশিত: ১২:৩০, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পর আলোচনায় সেই আতিকা

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে অন্তর্বর্তী সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণার পর ছাত্র রাজনীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে কি না সেটি নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের বড় ভূমিকা থাকলেও স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এর ছাত্র সংগঠনের দলীয় লেজুড়বৃত্তি চর্চা শুরু হয়।

এটি আরো প্রকট হয়ে ওঠে গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ একটানা ক্ষমতায় থাকাবস্থায়। এদিকে এই নিষিদ্ধের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে যেসকল আলোচনা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখার সভাপতি আতিকা বিনতে হোসাইন। বলা হয়, তার হয়রানিতে অতিষ্ঠ ছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মিছিলে যেতে বাধ‍্য করা, অন‍্যথায় মারধরের শিকার হওয়ার ভয়ে আতিকা ছিলেন শিক্ষার্থীদের এক আতঙ্কের নাম। আতিকা ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের খুব ঘনিষ্ঠজন। এর সুবাদে ক‍্যাম্পাসে তাঁর ছিল সীমাহীন ক্ষমতা। কমিটি বাণিজ্য, সচিবালয়ে তদবিরসহ নানা অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। সাদ্দাম-ইনান যে কয়টি কমিটি ঘোষণা করেছেন, সেখানে লেনদেন বাণিজ‍্যের অভিযোগ রয়েছে আতিকার বিরুদ্ধে।

১৫ জুলাই রাতেও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘৭ মিনিটে ঢাকা ক্লিয়ার’-এর হুমকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ‍্যে আতঙ্ক তৈরির অপচেষ্টা করেন তিনি। এরপর আর শেষ রক্ষা হয়নি। ১৭ জুলাই রাতে ‘ভুয়া ভুয়া’ দুয়োধ্বনি ও হালকা উত্তম-মধ‍্যম দিয়ে আতিকাসহ ছাত্রলীগের সাত নেত্রীকে রোকেয়া হল থেকে বের করে দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর পরই আত্মগোপনে চলে যান তিনি। তাঁকে আর দেখা যায়নি জনসম্মুখে।

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের ঘোষণায় প্রকাশ্যে না আসায়, নেটিজেনরা আতিকাকে নিয়ে নানারকম পোস্ট দিচ্ছেন। অনেকেই জানতে চাচ্ছেন ছাত্রলীগের এই নেত্রী এখন কোথায়।