২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭ পৌষ ১৪৩১ 

সোশ্যাল মিডিয়া

বাংলাদেশের নাম ‘বাঙ্গিস্তান’ রাখার প্রস্তাব ইমরান এইচ সরকারের

বাংলাওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৪৫, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের নাম ‘বাঙ্গিস্তান’ রাখার প্রস্তাব ইমরান এইচ সরকারের

মনে আছে ইমরান এইচ সরকারের কথা? যিনি একাত্তরে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে গড়ে ওঠা শাহবাগ আন্দোলন প্রধান মুখপাত্র ছিলেন। সে সময়ের তরুণ চিকিৎসক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ইমরান এইচ সরকারের ডাকে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চে সমাবেত হতো লাখ লাখ মানুষ। 

হারিয়ে যাওয়া সেই ইমরান এইচ সরকার দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আবার সরব হচ্ছেন। নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন। অতীতের মতো এবারও জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে নিজের শক্ত অবস্থান তুলে ধরছেন। জামায়াত যেভাবে আবার এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশের নামটাই পরিবর্তন করে ফেলা যায় কি-না সে প্রশ্ন তুলেছেন ইমরান।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার লিখেছেন- বাংলাদেশের নতুন নাম বাঙ্গিস্তান রাখলে কেমন হয়? একটা জিহাদি জোশ থাকলো! তার এই স্ট্যাটাস বেশির ভাগ নেটিজেনদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। অনেকে ইমরান এইচ সরকারের অতীত তুলে ধরে কড়া সমালোচনা করছেন।

ইমরান এইচ সরকারের স্ট্যাটাসের নিচে কমন্টের ঘরে একজন লিখেছেন- বাংলাদেশের নাম মুজিবল্যান্ড রাখা যায়। সুইজারল্যান্ড সুইজারল্যান্ড একটা জোশ আসবে। ইমরানকে শাহবাগে আসার আহ্বান জানিয়ে আরেকজন লিখেছেন- ভাই আপনি কেমন আছেন? আছেন কোথায়? অনেকদিন দেখিনা আপনাকে৷ দেশে এত বড় বড় অন্যায় হচ্ছে অথচ পতাকা উঠানো কিংবা নামানোর নির্দেশ দিচ্ছেন না। ভাই মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেও কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যায়। আসেন শাহবাগে। আমাদের তো হৃদয়ের শ্লোগান- শাহবাগ ঘুমায় না। আপনি ঘুমিয়ে গেলেন কেন?

শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে প্রায় শূন্য থেকে হঠাৎ করে পাদপ্রদীপের আলোয় চলে এসেছিলেন ইমরান এইচ সরকার। কিন্তু সময়ের সঙ্গে একপ্রকার দৃষ্টির আড়ালে চলে যান তিনি। কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে এখন আর তাকে দেখা যায় না। অথচ গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন নিজের রাজনৈতিক দল হতে পারে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। সময়ের পরিক্রমায় তাও গতি হারিয়েছে।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মোটরগাড়ি মার্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাতীয় রাজনীতির দিকে ঝোঁকার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ২ হাজার ৭৭৫টি। ফলাফল প্রকাশের আগে আগে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইমরান এইচ সরকার ওই নির্বাচনের সমালোচনা করে একে ভোট ডাকাতির নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করেছিলেন ইমরান এইচ সরকার। আওয়ামী লীগের ক্রান্তিকালে আবার সরব হচ্ছেন তিনি। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র কী আবার রাজনীতিতে সরব হবেন?