
রোববার বোর্ড সভায় বসেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সভায় নতুন বছরে চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ও ম্যাচ ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। এ ছাড়া নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কোন কোন ক্রিকেটার জায়গা পাচ্ছেন তাও অনেকটাই চূড়ান্ত।
এতকিছুর মাঝেও আলাদা ভাবে আসছে সাকিব আল হাসানের নাম। জানা গেছে আগের বছরে চুক্তিতে থাকা সাকিবের চার মাসের পারিশ্রমিক এখনো বাকি। ২০২৪ সালে তিন সংস্করণেই সর্বোচ্চ ক্যাটাগরির চুক্তিতে ছিলেন সাকিব। আর সেই চুক্তির সাপেক্ষে বিসিবি থেকে এখনো ৪৮ লাখ (ট্যাক্স বহির্ভূত) পাওনা তার।
ওই বছরের শেষ চার মাসের বেতন তাকে এখনো দেওয়া হয়নি বলে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির এক কর্মকর্তা, ‘এটা সত্যি সে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরের বেতন পায়নি কারণ তার ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করা আছে।’
গত নভেম্বরে রাজনৈতিক কারণে সাকিব ও তার স্ত্রীর দেশে থাকা ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা আছে। সেই কারণেই বিসিবি তাকে এখনো প্রাপ্য পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিতে পারছে না। তবে তার প্রাপ্য টাকা বিসিবি দিয়ে দেবে বলে ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী সে তার টাকা পাবে। এই সময়ে খেলুক কিংবা না খেলুক চুক্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হবে।’
গত সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে কানপুর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি আগে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দেশে খেলতে চেয়েছিলেন বিদায়ি টেস্ট। ওয়ানডে থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে। তার কোন চাওয়া পূরণ হয়নি।
এরই মধ্যে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া প্রতারণার মামলার তার বিরুদ্ধে আছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। এরই মাঝে সাকিবের ওপর আছে বোলিং অ্যাকশনের নিষেধাজ্ঞা। এর পর তাকে আর কোন দলে বিবেচনা করা হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেও দেশে ফিরতে পারেননি বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সংসদ সদস্য হওয়া সাকিব।