২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭ পৌষ ১৪৩১ 

স্পোর্টস

এক ম্যাচে বোলিং করলেন ১১ জনই! 

বাংলা ওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:০০, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

এক ম্যাচে বোলিং করলেন ১১ জনই! 

একটা দলে বোলার থাকে ৫ অথবা ৬ জন। কিংবা একাধিক অলরাউন্ডার মিলিয়ে ৭–৮ জনও হতে পারেন। কিন্তু কোনো দলের ১১ জনই যদি বোলিং করেন? বিষয়টি আজব হলেও গুজব নয়। 

টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে নজিরবিহীন এই ঘটনাই ঘটেছে আজ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। ভারতের টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে মণিপুরের বিপক্ষে দলের ১১ জনকে দিয়েই বোলিং করিয়েছে দিল্লি। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি তো বটেই, স্বীকৃত টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন ঘটনা এই প্রথম।

এর আগে ২০ ওভারের ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯ জন বোলার ব্যবহারের ঘটনা দেখা গেছে বেশ কয়েকবার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেই (বিপিএল) এমন কিছু ঘটেছে ৪ বার।

টি–টোয়েন্টি ম্যাচের দৈর্ঘ্য কম বলে বেশির ভাগ ম্যাচেই ৫–৬ জনের বেশি বোলিং করেন না। কিন্তু মণিপুরের বিপক্ষে দিল্লি অধিনায়ক আয়ুশ বাদোনি ভেবেছেন ভিন্ন কিছু। এক এক করে সব ফিল্ডারের হাতেই বল তুলে দিয়েছেন। বাদোনি নিজে উইকেটকিপার। দলের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে বল হাতে নিয়ে তিনিও দুই ওভার করেছেন, এমনকি নেন ১ উইকেটও!

দিল্লির ১১ বোলারের মধ্যে তিনজন করেছেন ৩ ওভার করে, ৩ জন দুই ওভার করে। বাকি পাঁচজন বোলিং করেন ১ ওভার করে। ব্যাটসম্যান–উইকেটকিপার নির্বিশেষে সবাই বোলিং করলেও মণিপুর বেশি রান তুলতে পারেনি। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ১২০ রান। তাড়া করতে নেমে ৯ বল আর ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে দিল্লি।

স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে ১১ বোলারের ব্যবহার এই প্রথম হলেও টেস্টে এমন ঘটনা ৪ বার দেখা গেছে। ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১১ জনকে দিয়ে বোলিং করিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ। একই মাঠে ২০০২ সালে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দলের ১১ জনকে দিয়েই বোলিং করিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী।

ওয়ানডে এবং আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে অবশ্য এখন পর্যন্ত কোনো দল ৯ জনের বেশি বোলার ব্যবহার করেনি।