সাকিব আল হাসানের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর নেই বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে।
গত সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেন সাকিব। দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে সাদা পোশাকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত জানান অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। টেস্ট থেকে বিদায় নিতে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সাকিব হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তাকে দেশে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়। টেস্ট থেকে তার আনুষ্ঠানিক বিদায় তাই হয়নি।
এখন আবু ধাবি টি-টেন লিগে বাংলা টাইগার্সকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাকিব। ওই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, টি-টেন লিগ শেষ হওয়ার পরে তিনি জাতীয় দলের ব্যাপারে ভাববেন। ১০ দলের মধ্যে নবম হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে সাকিবদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে না পারলে আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবের খেলাও চরম অনিশ্চয়তায় পড়ে যাবে নিশ্চিতভাবেই। বিসিবি সভাপতি কোনো কিছু খোলাসা করলেন না এখানেও।
“(চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য) সাকিব তো এখনও আমাদের তালিকায় আছে। আমরা তো আশা করি, সে যেভাবে চাচ্ছে বা এটা যদি একটা সমাধান হয়, আমি মনে করি সাকিব এখনও ক্ষমতা রাখে জাতীয় দলের খেলার।”
“তবে এভাবে আসলে একজন ক্রিকেটারের জন্য... শুধু দেশের বাইরে থেকে টুর্নামেন্টগুলো খেলবে, তাকে মানসিকভাবে খুব একটা...। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলা আর দেশের হয়ে খেলা এক নয়। প্রস্তুতি পর্ব হয়, দলের সমন্বয়টা দরকার হয় খুব বেশি। এটা যেহেতু করতে পারছে না, আমার মনে হয় ও তাই এখন দেশের হয়ে খেলার মতো মানসিক অবস্থায় নেই। সেক্ষেত্রে আমরা এই জিনিসটা ওর ওপরেই ছেড়ে দিয়েছি যে, ও কী চিন্তা করছে।”
বিসিবি সভাপতির কথায় যে ইঙ্গিত, তাতে সাকিবের জন্য আশার বার্তা খুব একটা নেই।
আগামী ১১ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কায় শুরু হবে লঙ্কা টি-টেন লিগ। ওই টুর্নামেন্টে প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগেই সরাসরি চুক্তিতে সাকিবকে দলে নিয়েছে গল মার্বেলস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে না যেতে পারলে হয়তো শ্রীলঙ্কার টি-টেন লিগেই দেখা যাবে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারকে।