ফ্রান্সের খেলা বাদ দিয়ে নৈশক্লাবে মত্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপের বিরুদ্ধে। তবে এসব বিতর্কে ফরাসি অধিনায়কের ঢাল হয়েছেন তার সতীর্থরা। বরং তিলকে তাল করে তোলায় কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তারা সংবাদমাধ্যমকে।
এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয় প্রবল। দেশের চেয়ে ক্লাবকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এখন থেকে জাতীয় দলের হয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোয় খেলবেন বা বেছে বেছে ম্যাচ খেলবেন এমবাপে, এমন গুঞ্জনও চলছে।
এর মধ্যেই সুইডিশ সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, ইসরায়েলের সঙ্গে ফ্রান্সের ম্যাচের সময়টায় সুইডেনের এক নৈশক্লাবে দেখা গেছে এমবাপেকে। এতে যেন সমালোচনার আগুনে ঘি পড়ে আরও।
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এমবাপের নৈশক্লাবে যাওয়ার প্রসঙ্গেই প্রশ্ন ছুটে গেল ভেসলে ফোফানার কাছে। ফ্রান্সের এই ডিফেন্ডার বললেন, তাদের অধিনায়কের মাঠের বাইরের এসব কিছু কোনো প্রভাব ফেলেনি দলে।
তিনি বলেন, ফাঁকা সময়টায় যার যা ইচ্ছা, করতেই পারে লোকে। এই ব্যাপারটি (এমবাপের নৈশক্লাবে থাকা) নিয়ে আজকে আমাদের দলে কোনো কথাই হয়নি। আমি এসবের কিছুই শুনিনি।”
চেলসির এই তরুণ ডিফেন্ডার বরং পাল্টা তির ছুড়লেন সংবাদমাধ্যমের দিকেই। বলেন, তার (এমবাপে) যেটা ইচ্ছা সে করতেই পারে। সে দারুণ এক ছেলে এবং খুবই পেশাদার। আমরা কি ব্যাপারটাকে একটু বেশিই বড় করে দেখছি? জানি না…।
তিনি আরও বলেন, সে ফ্রান্সের সেরা ফুটবলার। তাকে নিয়ে এসব প্রচার বেশিই হবে। তবে আমার মনে হয়, কখনও কখনও সংবাদমাধ্যম একটু বেশিই করে ফেলে। যাহোক, আরও কিছু জানতে চাইলে কিলিয়ান এমবাপেকেই জিজ্ঞেস করতে হবে।
এমবাপের ওপর প্রবল আস্থার কথা বললেন তার আরেক সতীর্থ মিডফিল্ডার মাতেও গেন্দুজি। বলেন, কিলিয়ানকে নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো সংশয় নেই… (দেশের প্রতি) তার নিবেদন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। সে দেশকে ভালোভাবে, আমাদেরকে সহায়তা করেই যাবে সে। অন্য সব ব্যাপার নিয়ে বেশি কথা বলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে আমাদের। সে ছুটিতে আছে। এই সময়ে যা খুশি করতেই পারে।
গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলকে ৪-১ গোলে হারানো ফ্রান্স পরের ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে লড়বে সোমবার।