২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭ পৌষ ১৪৩১ 

স্পোর্টস

তালেবান সরকারের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানালেন নবী-রশিদ

বাংলা ওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৩০, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

তালেবান সরকারের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানালেন নবী-রশিদ

আফগানিস্তানের তালেবান সরকার মেয়েদের নার্সিং ও ধাত্রীবিদ্যা প্রশিক্ষণের ইনস্টিটিউটগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে—এই খবর শুনে প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশটির দুই তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খান।

আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অনেক ওপরে। নারী ও পুরুষের জ্ঞান অন্বেষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনেও শিক্ষার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং দুটি লিঙ্গেরই সমান গুরুত্ব স্বীকার করা হয়েছে। খুব দুঃখ ও হতাশার সঙ্গে দেখছি, সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে মা-বোনদের জন্য শিক্ষা ও চিকিৎসার ইনস্টিটিউটগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত শুধু তাদের ভবিষ্যৎই নয়, সমাজের বুনিয়াদকেও গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা এ নিয়ে যে দুঃখ ও ব্যথার প্রকাশ করছেন, এর মাধ্যমে মর্মন্তুদ ভোগান্তিটা বোঝা যায়।’

আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে সাবেক শীর্ষ এই বোলার আরও লিখেছেন, ‘আফগানিস্তান, আমাদের ভালোবাসার মাতৃভূমি সংকটময় সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। দেশের প্রতিটি খাতে পেশাদার মানুষ খুব দরকার। বিশেষ করে চিকিৎসা খাতে। নারী চিকিৎসক ও নার্সদের তীব্র সংকট খুব দুশ্চিন্তার, যা সরাসরি নারীদের স্বাস্থ্যসেবা ও সম্মানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। চিকিৎসায় পেশাদারেরা, যারা সত্যিকার অর্থে তাদের প্রয়োজনটা বোঝেন, আমাদের মা-বোনদের তাদের সংস্পর্শে আসা প্রয়োজন। আমি তাই সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করছি। তাতে আফগান নারীরা শিক্ষার অধিকার ফিরে পাবে এবং জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে। সবার শিক্ষার অধিকার শুধু সামাজিক দায়িত্ব নয় বরং এটা নৈতিক বাধ্যবাধকতা যা আমাদের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।’

আফগানিস্তানের সাবেক অধিনায়ক নবী তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘চিকিৎসা খাতে নারীদের লেখাপড়া নিষিদ্ধ করা শুধু হৃদয়বিদারক নয়, ভীষণ অবিচারও। ইসলাম সব সময়ই সবার শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছে এবং ইতিহাসেও এমন প্রেরণাদায়ক প্রচুর উদাহরণ আছে, যেখানে নারীরা জ্ঞানের মাধ্যমে অনেক প্রজন্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।’

নবী এরপর লিখেছেন, ‘তালেবানকে আমি এসব মূল্যবোধে গুরুত্ব দেওয়ার অনুরোধ করছি। নারীদের শিক্ষা এবং নিজের জনগণকে তাদের সেবা করার সুযোগকে অস্বীকার করার অর্থ হলো তাদের স্বপ্ন এবং আমাদের জাতির ভবিষ্যতের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। আমাদের মেয়েদের পড়তে দিন, বেড়ে উঠতে দিন এবং সবার জন্য আরও ভালো আফগানিস্তান তৈরি করুন। এটা তাদের অধিকার এবং তা রক্ষার দায়িত্বটা আমাদের।’

আফগানিস্তান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজও, পবিত্র কোরআন এবং হাদিসকে উদ্ধৃত নারী শিক্ষার পক্ষে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিবৃতি দিয়েছেন।