১১ দিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানকে হারাল জিম্বাবুয়ে। জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ১২ রান। বোলিংয়ে পেসার জাহানদাদ খান, ব্যাটিংয়ে টিনোটেন্ডা এমপোসা। স্বীকৃত কোনো ব্যাটার নন। তবে এমপোসা হার মানলেন না। প্রথম বলে চার ও দ্বিতীয় বলেই ছয়—দুই বলে ১০ রান দিয়ে জিম্বাবুয়েকে জয়ের আরও নিকটে নিয়ে আসেন তিনি।
তবে রোমাঞ্চ সেখানে শেষ নয়। তৃতীয় বলে ১ রান নিয়ে স্ট্রাইক দেন তাশিংগা মুসেকিয়াকে। জিম্বাবুয়ে ততক্ষণে ম্যাচ লেভেল করে ফেলেছে। কিসের ভয়! তবে ভয় একটু জাগল মুসেকিয়ার বিদায়ে। সেই ভয়কে জয় করলেন রিচার্ড এনগারাবা। পরের বলে ১ রান নিয়ে জিম্বাবুয়েকে এনে দিলেন ২ উইকেটের জয়। সঙ্গে স্বাগতিকেরাও এড়ালেন হোয়াইটওয়াশ।
গত ২৪ নভেম্বর বুলাওয়েতে বৃষ্টি-বাধার ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। তবে পরের দুই ম্যাচ হেরে খোয়ায় সিরিজটাও। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও প্রথম দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ তুলে দেয় পাকিস্তানের হাতে। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে শেষ ম্যাচে জিততে হতো জিম্বাবুয়েনদের। রোমাঞ্চকর জয়ে আজ সেটিই করেছে তারা। ১১ দিনের ব্যবধানে আরেকবার হারিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানকে।
এবারও ভেন্যু বুলাওয়ে। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান করে ৭ উইকেটে ১৩২ রান। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরা পাকিস্তান ১৩৩ রানের লক্ষ্য দেয় মিডল-অর্ডারদের দৃঢ়তায়। পাওয়ারপ্লতে ৩ টপ অর্ডারকে হারিয়ে ফেলে তারা। লক্ষ্য তাড়ায় জিম্বাবুয়ে জিতেছে ১ বল হাতে রেখে। টপ অর্ডারদের দৃঢ়তায় ৮ উইকেটে করে ১৩৩ রান। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি জিতে আগেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল পাকিস্তান।