লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা। তার অর্জনের মুকুটে এবার নতুন এক পালক যোগ হয়েছে। সেটি এবারের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) মোস্ট ভ্যালুয়েবল খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে।
পিএসজি ছেড়ে ২০২৩ সালের জুনে মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। তাই এবারই দলটির হয়ে পূর্ণ মৌসুম খেলার সুযোগ পান তিনি। তবে, আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকায় খেলার কারণে এবং চোটের ধাক্কায় ৬২ দিন মায়ামির সঙ্গে ছিলেন না ৩৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
তারপরও, অসাধারণ পারফরম্যান্সে সবাইকে ছাড়িয়ে যান মেসি। ১৯ ম্যাচ খেলে ২০টি গোল করার পাশাপাশি ১৬টি অ্যাসিস্টও করেন তিনি।
২০১৫ সালে লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সির রেকর্ড স্কোরার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক তারকা ফুটবলার ল্যান্ডন ডোনোভ্যানের নামানুসারে পুরস্কারটির নামকরণ করা হয় ‘ল্যান্ডন ডোনাভ্যান এমএলএস মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার।’ খেলোয়াড়, গণমাধ্যমকর্মী ও ক্লাবগুলোর ভোটে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয়।
এমএলএসের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৩৪.৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মেসি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩.৭০ ভোট পেয়েছেন কলাম্বাস ক্রুর ফরোয়ার্ড কুচো এর্নান্দেস। লড়াইয়ে ছিলেন আরও তিন জন, তবে তারা কেউ ১০ শতাংশও ভোট পাননি।
ইন্টার মায়ামির ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এমএলএসের আসরের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার কীর্তি গড়লেন মেসি। তার হাত ধরেই এবার সবচেয়ে বড় প্রথমের জন্ম দেয় ক্লাবটি। মৌসুমজুড়ে দারুণ ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে প্রথমবারের মতো তারা জয় করে সাপোর্টার্স শিল্ড। কেবল তাই নয়, মেজর লিগ সকারে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ পয়েন্টের রেকর্ডও গড়ে দলটি; ইস্টার্ন কনফারেন্সে ২২ জয় ও আট ড্রয়ে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে আসরের প্রথম ভাগ শেষ করে তারা।
তবে এমএলএস একেবারেই ভালো যায়নি মেসিদের। এমএলএস কাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে দ্বিতীয় ধাপ শুরু করলেও, প্লে-অফের প্রথম রাউন্ডেই হেরে ছিটকে পড়ে তারা। সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে সেই আক্ষেপই ঝরল মেসির কণ্ঠে। দিলেন আগামীতে অপূর্ণতা ঘোচানোর বার্তা।
“আমি অন্য এক পরিস্থিতিতে পুরস্কারটি পেতে চাই, শনিবারের ফাইনালে খেলে।”
“এই বছর এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনেক বড় স্বপ্ন ছিল আমাদের। এবার সেটা পূর্ণ হয়নি, তবে আগামী বছর আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে আবার চেষ্টা করব।”
শনিবার এমএলএস কাপের ফাইনালে লড়বে এলএ গ্যালাক্সি ও নিউ ইয়র্ক রেড বুলস।