এ সময়ের গুগল প্লে স্টোরের আলোচিত অ্যাপ হলো ‘ডেথ ক্লক’। এই অ্যাপ নিয়ে এত আলোচনার কারণ হলো এই অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা মৃত্যু অনুমান করতে পারবেন। এমনকি কীভাবে এর তারিখ পেছানো যায়, সে সম্পর্কে বিভিন্ন টিপসও রয়েছে।
এর আগে ২০০৬ সালে এমনই এক আইপড অ্যাপের কথা উঠে এসেছিল প্রযুক্তি সাইট টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদনে। কিন্তু ‘ডেথ ক্লক’ অ্যাপটির নির্মাতা জানিয়েছেন, তার অ্যাপটি এক হাজার দুইশটিরও বেশি আয়ুসংক্রান্ত গবেষণা থেকে প্রশিক্ষিত, যা মানুষের আদর্শ জীবনধারায় ‘বড় পরিবর্তন আনার’ সুযোগ দিয়ে থাকে।
সম্প্রতি অ্যাপটি পরীক্ষা করে দেখেছে টেকক্রাঞ্চ, যেখানে প্রতিবেদককে তার বয়স, লিঙ্গ এবং জাতিগত পরিচয় বিষয়ক সাধারণ তথ্য জিজ্ঞেস করতে শুরু করে অ্যাপটি। এমনকি তার পারিবারিক ইতিহাস, মানসিক স্বাস্থ্য ও সার্বিক অবস্থার মতো বিস্তারিত ধাঁচের প্রশ্নও ছিল এতে। সবকিছু বিশ্লেষণ শেষে অ্যাপটি অনুমান করেছে, ওই প্রতিবেদক ২০৭৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ৯০ বছর বয়সে মারা যাবেন। কিন্তু নিজ অভ্যাসে উন্নতি আনলে তিনি ১০৩ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারবেন।
ডেথ ক্লক অ্যাপটি ব্যবহার করতে গ্রাহককে বার্ষিক ৪০ ডলার করে আর্থিক ফি দিতে হবে, যেখানে ব্যবহারকারীর অভ্যাস উন্নত করার বিভিন্ন উপায় এমনকি তার আনুমানিক মৃত্যুর প্রহর গোনা একটি ঘড়িও দেখা যাবে। এ সম্ভাব্য মৃত্যুর তারিখ এমনভাবে নকশা করা যাতে তা অনলাইনে শেয়ার করা যায়। তবে এর বাস্তবিক প্রভাবও আছে। ‘বয়স্ক ও অবসরপ্রাপ্ত লোকজন, যারা অর্থ খরচ করে চলেছেন, তাদের কাছে মৃত্যু বড় এক শঙ্কা। তাই নির্ভুল উপায়ে মৃত্যু অনুমান করার বিষয়টি সহায়ক হতে পারে,’ ব্লুমবার্গকে বলেছেন আর্থিক পরিকল্পনাবিদ রায়ান জ্যাবরোস্কি।