
রাইস ব্র্যান অয়েল রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে সরকার।
রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর নতুন এই হারে শুল্ক বসিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত’ এই তেল দেশের ভোজ্য তেলের অভ্যন্তরীণ চাহিদার ‘২৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ’ মেটাতে সক্ষম।
দেশে উৎপাদিত রাইস ব্র্যান অয়েল স্থানীয় বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে ভোজ্য তেলের বাজার ‘স্থিতিশীল’ রাখা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন এনবিআর।
সর্বশেষ ৯ ডিসেম্বর ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো হয়। তার আগে বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলের সয়াবিন তেল।
তখন খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের দাম সর্বোচ্চ ৮ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ১৭৫ টাকা। দুই লিটারের বোতলে তা ৩৮০ টাকা এবং ৫ লিটার ৮৫২ টাকা। খোলা সয়াবিনের খুচরা বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৫৭ টাকা।
তার আগে বোতলের সয়াবিনের দাম ১৬৭ টাকা এবং খোলা তেল ১৪৯ টাকা ছিল।
২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অক্টোবরে আমদানি পর্যায়ে ভোজ্য তেলের মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ৫ শতাংশ কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করে সরকার।
কর আদায়ে সংস্থা এনবিআর বলছে, ভোজ্যতেল একটি অপরিহার্য খাদ্যপণ্য, যার সরবরাহ মূলত: আমদানি নির্ভর। দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের চাহিদার সিংহভাগ পূরণ হয় অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি করে পরিশোধনের মাধ্যমে।
“তবে দেশে ১ দশমিক ২ থেকে ১ দশমিক ৫ লাখ টন রাইস ব্র্যান তেল (পরিশোধিত/অপরিশোধিত) উৎপাদিত হলেও তার সিংহভাগ প্রতিবেশী দেশে রপ্তানি হয়ে যায়।”
ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে সকল ধরণের রাইস ব্র্যান অয়েল রপ্তানিতে এনবিআর ২৫ শতাংশ হারে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করার বিষয়টি তুলে ধরে।
সরকারের নানান সুবিধা দেওয়ার পরেও রমজানের আগে আরেক দফা সয়াবিন তেলের দাম বাড়তে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়ে কৌশলী বিপণনের পথ ধরার তথ্য পাওয়া যায়।
খুচরা পর্যায়ে কমিশন কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বাকিতে তেল দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে মিলার ও ডিলার পর্যায়ে। এর প্রভাবে পাড়ায় মহল্লার দোকানগুলোতে কমেছে বোতলজাত তেলের সরবরাহ।
খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে, রমজানের আগেই দাম বাড়াতে চান ব্যবাসয়ীরা, সেজন্য ডিলাররা বাকিতে তেল দেওয়া বন্ধ করেছেন।