২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭ পৌষ ১৪৩১ 

অর্থ-বাণিজ্য

আইএমএফের পূর্বাভাস

শিগগিরই কমবে না জিনিসপত্রের দাম

বাংলা ওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০৪, ২২ অক্টোবর ২০২৪

শিগগিরই কমবে না জিনিসপত্রের দাম

উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ধীর প্রবৃদ্ধি ও উচ্চ সরকারি ঋণের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট শিগগিরই কাটছে না। বিশেষ করে সাধারণ মানুষকে জিনিসপত্রের উচ্চ মূল্যের যন্ত্রণ আরও কিছুদিন সহ্য করতে হবে। এমনটাই বলেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।
গতকাল সোমবার তিনি বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি স্থায়ী হচ্ছে। ধীর গতির প্রবৃদ্ধি ও উচ্চ ঋণের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলছে এই দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতি।
এদিন ব্রেটন উডস কনফারেন্সে দেওয়া বক্তৃতায় এ কথা বলেন আইএমএফের এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমরা সবাই যে কষ্ট সহ্য করছি, তা দীর্ঘমেয়াদি হবে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বিশ্বের বহু মানুষই ক্ষুব্ধ হচ্ছে। আমরা আসলে ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উচ্চ ঋণের এই নির্মম সমন্বয়ের মুখোমুখি হয়েছি।’
উল্লেখ্য, ব্রেটন উডস সম্মেলন, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের মুদ্রা ও আর্থিক সম্মেলন নামে পরিচিত। প্রথম সম্মেলনে ৪৪টি মিত্র দেশের ৭৩০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের ব্রেটন উডসের মাউন্ট ওয়াশিংটন হোটেলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা ও আর্থিক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে আইএমএফ কর্মকর্তা ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতি মোটামুটি ভালোভাবে কাজ করছে। তবে উদ্বেগ রয়েই গেছে। বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির তুলনায় সামান্য ধীর গতিতে বাড়ছে।
আইএমএফ আজ মঙ্গলবার তাদের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হালনাগাদ করবে। যদিও জর্জিয়েভা তাঁর বক্তৃতায় নির্দিষ্টভাবে সে ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করেননি। তবে তিনি বলেছেন, প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশের ওপরে থাকবে বলেই প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
আইএমএফ ২০২৪ সালের বৈশ্বিক প্রকৃত মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ এবং ২০২৫ সালের জন্য ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, জলবায়ু ঝুঁকির কারণে কিছু দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের এই বার্ষিক বৈঠক গতকাল সোমবার শুরু হয়েছে। সম্মেলনে ১০ হাজারের বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যার মধ্যে থাকবেন—অর্থ মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর উপায়, ঋণসংকট মোকাবিলা এবং সবুজ জ্বালানির রূপান্তরের জন্য অর্থায়ন।