
বাজারে বোতলের সয়াবিন তেলের সরবরাহ দেখা গেলেও গায়ের দাম থেকে বাড়তি দামে তেল কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে বিক্রেতারা বলছেন, গায়ের দামে বিক্রি করার মত দামে তারাও কিনতে পারেন না।
মহাখালী কাঁচাবাজারের লক্ষ্মীপুর জেনারেল স্টোরের সামনে গিয়ে সয়াবিন তেলের সরবরাহ চিত্র দেখা গেল। দোকানের সামনে সারিতে সাজানো ছিলে এক লিটার, দুই লিটার আর পাঁচ লিটারের বোতল।
তবে, সাত তলা বাজারে তেল কিনতে আসা হামিদুল ইসলাম জড়ালেন বচসায়। এই বাজারের একটি দোকানে তিনি রূপচাঁদা কোম্পানির এক লিটারের বোতল কিনেছেন। গায়ের দাম ১৭৫ টাকা হলেও বিক্রেতা নিয়েছেন ১৯০ টাকা। এই নিয়েই বচসা।
বিক্রেতা ফারুক হোসেনের দাবি, তিনি গায়ের দামের থেকে সামান্য কমে কিনেছেন, কাজেই গায়ের দামে বিক্রি করলে লাভই হবে না। এজন্য বাধ্য হয়েই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফারুক বলেন, ডিলাররা এখন কিছু তেল ছাড়লেও অনেক দিন ধরেই তেলের শর্ট বাজারে। আর, গায়ের দামে বিক্রি করলে প্রায় লাভই থাকে না। কিছু করার নেই। আমি তো আর জোর করছি না নিতে। এই দামে বোতলের পাম ওয়েল পাওয়া যায়। সেটা তো উনি নেবেন না।
এক লিটারের বোতলের সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা, দুই লিটারের বোতল ৩৪৫ টাকা, আর পাঁচ লিটারের বোতল ৮৫২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু দুইদিন আগে বাজারে এ তেলের বোতল ৮৬৫ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
তবে রাষ্টায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) শুক্রবার বাজার দরের যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে প্রতি লিটার বোতলের সয়াবিন তেল ১৭৫ থেকে ১৭৬ টাকা, আর ৫ লিটারের সয়াবিন তেল ৮৪৫ থেকে ৮৫০ টাকা বলা হয়েছে।
এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৫৮ থেকে ১৬৮ টাকা, পাম তেল ১৪৪ থেকে ১৫০ টাকা এবং সুপার পাম তেল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে টিসিবির তথ্য বলছে।