২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭ পৌষ ১৪৩১ 

অর্থ-বাণিজ্য

দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে, স্বীকার করলেন অর্থ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশিত: ২৩:২৭, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে, স্বীকার করলেন অর্থ উপদেষ্টা

দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘সব ধরনের শুল্কছাড় দেওয়া সত্ত্বেও নিত্যপণ্যের দাম কমছে না। এ কারণে মানুষ অধৈর্য হয়ে গেছে এবং এটাই স্বাভাবিক। এ জন্য মানুষের দোষ দিই না।’

‘পিকেএসএফ দিবস-২০২৪’ উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা এ কথাগুলো বলেন। সালেহউদ্দিন আহমেদ একসময় এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছিলেন।

আজ বুধবার ঢাকার আগারগাঁওয়ের নিজস্ব কার্যালয়ে পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা এমডি বদিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফের ভারপ্রাপ্ত এমডি মো. ফজলুল কাদের।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে…। আমি কিছুদিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ছিলাম। অজস্র গালাগাল করা হয়েছে, দাম কেন কমছে না। সব শুল্ক কমিয়ে দিলাম। প্রধান উপদেষ্টাকে জানালাম। বাজারে দাম কমানো শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। এখানে অনেক ফ্যাক্টর (কারণ) আছে। মানুষের দোষ দিই না। মানুষের কষ্ট হচ্ছে। ৫০০ টাকা নিয়ে গেলে দুমুঠো শাক ও অন্য কিছু কিনতেই তা শেষ। দাম কমানোর চেষ্টা করছি, যদিও অত সহজ না।’

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘চলে গেলেও মানুষ আমাদের মনে রাখবেন। অনেকে ধন্যবাদ দেন। বলেন, অমুক কাজটি ভালো করেছেন। বন্ড ও সঞ্চয়পত্রেও আমরা ভালো করেছি। সঞ্চয়পত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বিনিয়োগ হচ্ছে। ভালো জিনিস যত তাড়াতাড়ি করা যায়, ততই মঙ্গল।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিদেশ থেকে ছোট ভাই জানিয়েছিল, “ফেসবুকে আপনাকে গালি দিয়ে ভরে দিচ্ছে।” আমার কিন্তু ফেসবুক নেই। একটা মৌসুমে ৫ লাখ ৩০ হাজার টন ইলিশ উৎপাদিত হয়। ভারতে দিলাম মাত্র তিন হাজার টন। আবার অনেকে বললেন ভারতকে ইলিশ দেওয়া ভালো সিদ্ধান্ত।’

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভায় যোগ দিয়ে সবার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দেখলাম, আমাদের দিকে কেউ মুখ বাঁকা করছে না। সাত থেকে আট দিন ছিলাম। সভা করতে করতে তখন হয়রান হয়ে গিয়েছিলাম। সবাই আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান।’

স্বল্প মেয়াদের সংস্কারে জোর দেওয়ার কথা জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদের সংস্কার করব না। তা করবে নির্বাচিত সরকার। চাইলেই সবকিছু পারি না। কিছু বাধা আছে।’
পিকেএসএফকে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান আখ্যা দিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০০৪ সালে সংস্থাটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ক্ষুদ্রঋণ সম্মেলনের কথা স্মরণ করেন। বলেন, ওই সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক বক্তব্য ও গালাগাল দিয়েছিলেন।