দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের ধারাবাহিকতায় অক্টোবরেও রেমিটেন্স প্রবাহে দারুণ গতি দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার রেমিটেন্স প্রবাহের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ৯৮ কোটি ৬৬ লাখ ৩০ হাজার (প্রায় ১০০ কোটি বা ১ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।
বর্তমান বিনিময় হার ডলার প্রতি ১২০ টাকা হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১১ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৮ কোটি ২৩ লাখ ডলার; টাকার অঙ্কে যা ৯৮৭ কোটি টাকা।
অক্টোবরের বাকি ১৯ দিনে রেমিটেন্সের এই প্রবাহ অব্যাহত থাকলে মাস শেষে এই অঙ্ক ২৫৫ কোটি বা ২ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকবে। সেক্ষেত্রে একক মাসের হিসাবে তা হবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স।
এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৬০ কোটি বা ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স এসেছিল ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ বা ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। আগস্টে এসেছিল ২২২ কোটি ৪১ লাখ বা ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছিল ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ বা ১ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতা, মৃত্যু, ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ, মামলা, গ্রেপ্তার ও প্রবাসীদের উৎকণ্ঠার প্রেক্ষাপটে জুলাই মাসে রেমিটেন্স কমেছিল বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ওই সময় আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাত-সহিংসতার জন্য তৎকালীন সরকারকে দায়ী করে দেশে রেমিটেন্স না পাঠাতে প্রবাসীদের প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে আহ্বানও জানিয়েছিলেন।
সব মিলিয়ে অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৬৫৪ কোটি ২৭ লাখ বা ৬ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। যা ছিল আগের অর্থবছরের (২০২২-২৩) চেয়ে ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি।